পরিবর্তন : এশিয়ায় প্রথম আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ২০১৯ সালের প্রথমার্ধ্বে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের সম্প্রসারিত প্রকল্প উৎপাদনে যাবে বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
বুধবার কোম্পানিটির ১২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেন। এসময় ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানির ঘোষিত ১০% স্টক ডিভিডেন্ট ঘোষিত ডিভিডেন্ডের অনুমোদন দেয় বিনিয়োগকারীরা।
জানা যায়, সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম ক্লাবে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানীর চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর কবির।
সভায় আলমগীর কবির বলেন, জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড উদ্ভাবনী ধারণায় বিশ্বাস করে এবং সর্বদা তা কার্যকর করার চেষ্টা করে। কোম্পানির ভিশন হলো -আলোক বর্তিকা হয়ে বাংলাদেশের ইস্পাত খাতকে সমৃদ্ধ করা এবং দেশের ভবিষ্যৎ অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করা।
তিনি বলেন, জিপিএইচ ইস্পাত তার মূল ইস্পাত ব্যবসার শিকড়কে আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং বাংলাদেশী ইস্পাত সংশ্লিষ্ট প্রান্তিক শিল্পগুলোর সুস্থ বিকাশ ও সুসংহত করে ইস্পাত শিল্পকে আর্ন্তজাতিক ভাবে প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান ও আগামীর চাহিদা পূরণের জন্য জিপিএইচ ইস্পাত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির “স্টেট অব দ্য আর্ট” স্টীল প্ল্যান্ট তৈরী করছে। ২০১৯ সালের প্রথমার্ধ্বে তা উৎপাদনে যাবে। ব্যবসায়িক পরিস্থিতি ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকবেলা করে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড খরচ কমানোর নীতি, পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও গ্রাহক সেবার নীতি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ফলস্বরূপ জিপিএইচ ইস্পাত বহুমুখি এবং আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সমন্বিত গবেষণা কার্যকর করেছে, যা ব্যবসাকে আরও বিস্তৃত, লক্ষ্যকে আরও উচ্চতর এবং বৃহত্তর পরিসরে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছে। সার্বিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে জিপিএইচ ইস্পাত বাংলাদেশের শিল্প চেইন, সরবরাহ চেইন এবং ভ্যালু চেইনকে নিখুঁতভাবে সহজতর করে তুলবে। এবং কোম্পানির ক্রমবর্ধমান উন্নতি ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবে। জিপিএইচ ইস্পাত পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়ন, টেকসই উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইস্পাত শিল্প এক নতুন উচ্চতায় স্থান করে নিবে। উল্লেখ্য যে, একই পড়সঢ়ড়ঁহফ এবং একই ছাদের নিচে এশিয়াতে জিপিএইচ ই প্রথম এমন একটি উচ্চ প্রযুক্তির স্টীল প্ল্যান্ট স্থাপন করছে। যা সরাসরি অবলোকন করার জন্য বিশ্বের বহু দেশ প্রখ্যাত প্রকৌশলীবৃন্দ সহ বিপুল সংখ্যক উদ্যোক্তার সমাবেশ ঘটবে।
আলোচনায় শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং কোম্পানির পরিচালকগনের প্রতি অনুরোধ রাখেন যাতে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে এবং ভবিষ্যতে অধিক পরিমাণে লভ্যাংশ প্রদান করতে পারে।
এজিএম অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আলমাস শিমুল, মোঃ আশরাফুজ্জামান, মোঃ আব্দুল আহাদ, মোঃ আজিজুল হক, স্বতন্ত্র পরিচালক এম.এ. মালেক, বেলায়েত হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (গ্রুপ) এবং কোম্পানি সচিব আবু বকর সিদ্দিক, নির্বাহী পরিচালক (এফ এন্ড বি.ডি) কামরুল ইসলাম এফসিএ, নির্বাহী পরিচালক (প্ল্যান্ট) ইঞ্জি: মাদানী এম. ইমতিয়াজ হোসেন, এ্যাডভাইজার-ইন্টারনাল অডিট আরাফাত কামাল এবং প্রধান অর্থ কর্মকর্তা এইচ এম আশরাফ উজ জামান সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সভায় বহু সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ৩০ জুন ২০১৮ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন, সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। এছাড়াও সভায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডাদের জন্য ঘোষিত ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :