মুহাম্মদ নাঈম : দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নির্বাচনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উৎকর্ষতা- রাজনীতির ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। উদাহরণ দিতে গিয়ে ড. ফাহমিদা বলেন, বাজারে এক জনের জায়গায় ১০ জন বিক্রেতা থাকলে কম দামে মানসম্মত পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিযোগিতা থাকে। ঠিক তেমনিভাবে একটি দল ক্ষমতায় থাকবে, অন্য একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে সরকারি দলের নীতিমালা বিশ্লেষণ করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে। এই সংস্কৃতি না থাকলে উন্নয়নকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিম‚লক করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে আরও সুস্পষ্ট বার্তা থাকা উচিত ছিল মন্তব্য করে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটা টানাপড়েন রয়েছে,এটা বন্ধ করতে হবে।
‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ডিভিশন থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে টানাপড়েন তৈরি হচ্ছে। এই ব্যাংকিং ডিভিশনের কোনো প্রয়োজনই নেই।’
ব্যাংকের ঋণখেলাপির সংস্কৃতির পেছনে ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের রাজনৈতিক প্রভাবকে দায়ী করে তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেশাদার লোকজনকে ব্যাংকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অনেক জায়গায় পরীক্ষা নিয়ে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়। এটা ছেলেখেলার বিষয় না। কেউ রাজনৈতিকভাবে দক্ষ লোক হতে পারেন কিন্তু ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে তার এই দক্ষতা নাও থাকতে পারে।
জাতীয়দৈনিক ইংরেজি ’দ্য ডেইলি স্টারে’র বিশেষ আয়োজন নির্বাচন সংলাপ ২০১৮। উপস্থিত ছিলেন ড. ফাহমিদা খাতুন। উপস্থাপনায় ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের প্ল্যানিং এডিটর শাখাওয়াত লিটন।
আপনার মতামত লিখুন :