বিনোদন প্রতিবেদক : বরেণ্য নির্মাতা আমজাদ হোসেন। তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, গীতিকার, অভিনেতাসহ আরও অনেক গুণের অধিকারী ছিলেন। গত শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) তিনি ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
মৃত্যুর পর তার মরদেহ দেশে আনা নিয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ছুটির দিন ও কিছু জটিলতায় আটকে যায় আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া। তার মরদেহ দেশে আনা নিয়ে একপ্রকার সংশয় তৈরি হয়। কয়েক দফায় তারিখও পরিবর্তন হয়। তবে এবার সবকিছু ছাপিয়ে আগামী শুক্রবার আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনা হবে।
এ বিষয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক আমাদের সময় ডটকমকে জানান, এরই মধ্যে ব্যাংকক থেকে মরদেহ আনার সব প্রক্রিয়া শেষের দিকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার না হলেও শুক্রবারের মধ্যে আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনা হবে।
উল্লেখ্য, ব্রেন স্ট্রোক করে গত ১৮ নভেম্বর সকালে তেজগাঁয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আমজাদ হোসেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন এই কিংবদন্তি।
‘ভাত দে’, ‘নয়ন মনি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, কালজয়ী ছবির কারিগর ছিলেন আমজাদ হোসেন।
গুণী এই নির্মাতা চলচ্চিত্রশিল্পে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ একাধিক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আমজাদ হোসেন। এছাড়া জাতীয়ভাবে তিনি অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :