রাশিদ রিয়াজ : ইরান যেসব এয়ারবাস কিনেছে তা পেতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চা দেয়ার আহবান জানিয়েছে তেহরান। ২’শ বিমান কেনা ও কেনার চেষ্টার পরও ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরোপের কারণে এসব বিমান সরবরাহ করা হচ্ছে না। এগুলোর মধ্যে এয়ারবাস রয়েছে ১’শটি, বোয়িং ৮০টি এবং এটিআর বিমান রয়েছে ২০টি। ইরানের সঙ্গে ৬ জাতি রাষ্ট্রের পারমানবিক সমঝোতা চুক্তি হওয়ার পর এসব বিমান ক্রয় করে দেশটি। কিন্তু ওই চুক্তি থেকে একতরফা ভাবে যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে পুনরায় ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে বসে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া চুক্তিতে সমঝোতাকারী হিসেবে জাতিসংঘও অন্যান্য দেশ ইরানের সঙ্গে সমঝোতা বজায় রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ইরানের কাছে বিক্রি করা বিমান সরবরাহে আপত্তি তুলেছে। ইরান এয়ারের প্রধান নির্বাহী ফারজানেহ শারাফবাফি বলেছেন, বিমান স্বল্পতায় যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সেবা ও পরিবহনে ঘাটতি সৃষ্টি হতে পারে এমন উদ্বেগও রয়েছে। যদিও এয়ারবাস বিমান ফ্রান্স তৈরি করছে তবে এধরনের বিমান বিক্রির ক্ষেত্রে মার্কিন ট্রেজারির ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। কারণ ওই বিমানের ১০ ভাগ যন্ত্রাংশ ও উপকরণ যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত। ইরান এয়ারের প্রধান নির্বাহী বলেন যেহেতু ফ্রান্স থেকে তার দেশ বিমান কিনেছে তাই এ বিমান সরবরাহে মার্কিন ছাড়পত্র প্রয়োজন হলে তার জন্যে তাদেরই প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত। ইরান এয়ারের কাছে ২০ টার্বোপ্রপ বিমান এটিআর বিক্রির পর ১৩ টি সরবরাহ করলেও বাকিগুলো এখনের তেহরান এসে পৌঁছেনি। পারমানবিক যে সমঝোতা হয়েছিল তার শর্ত অনুসারে এধরনের বিমান সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইইউ বাধ্য। এয়ারবাস তিনটি বিমান ইরানকে সরবরাহ করলেও বাকিগুলো এখনো করেনি। তবে মার্কিন বিমান কোম্পানি বোয়িং ইরানের ক্রয়আদেশ পাওয়ার পরও কোনো বিমান বিক্রি করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
আপনার মতামত লিখুন :