হ্যাপি আক্তার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদা রওনক খান বলেছেন, আমাদের দেশের রাজনীতি বেশির ভাগই আদর্শের চেয়ে ক্ষমতা কেন্দ্রিক। আরটিভি’র ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’ টকশোতে তিনি বলেন, চমক দেবার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো ইশতেহার তৈরি করেছে। ইশতেহার দেখে ভোটারা যারা ভোট দেয় না। কারণ ইশতেহারে যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় তা বাস্তবায়ন অতটা হয় না।
রাশেদা রওনক বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের শতভাগ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী বিচারের কথা বলে, তরুণদের ভোটের দিকে টানার জন্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ দেশে গণজাগরণমঞ্চ থেকে শুরু করে যতোগুলো আন্দোলন, তা তরুণদের হাত ধরেই হয়েছে। তরুণদের বড় একটি অংশই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, যুদ্ধাপরাধী মুক্ত বাংলাদেশ চায়। এই জায়গাটিকে আওয়ামী লীগ পয়েন্ট আউট করে তা বাস্তবায়ন করেছে এবং আগামীতেও করবে।
তিনি বলেন, শুধু তরুণদের নয়, যে কোনো বয়সের মানুষ চাকুরীতে প্রবেশ করতে পারবে। বিষয় বাস্তব সম্মত হওয়া খুব কঠিন। দেশে এমনিতেই চাকরির সংকট আছে। কারণ গত ১০ বছরে উচ্চ শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। গুণগতভাবে না হলেও সংখ্যাগতভাবে দেশের আনাচে কানাচে স্কুল বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে। সেদিক থেকে মনে হয় দলগুলো তারুণ্যকে কিছুটা বুঝেছেন, আবার বুঝেনওনি।
তিনি আরো বলেন, তরুণদের কিছু চাওয়া পাওয়া আছে, তারা এমন একটি বাংলাদেশ চায় যেখানে দেশ গ্লোবালি কানেক্টিভিটি হবে। বিষয়টিকে আওয়ামী লীগ লুফে নিয়ে ডিজিটাল নিয়ে বিপুল বিজয় নিয়ে এসেছে। তরুণদের আরেকটি চাওয়া ছিলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। সেখানেও অনেকটা পথ হেঁটে গেছে আওয়ামী লীগ।
নারীর ক্ষমাতয়নের কথা উল্লেখ করে রাশেদা রওনক বলেন, ইশতেহারে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলা হয়েছে। অথচ ঐক্যফ্রন্ট থেকে কোনো নারী প্রার্থীই নাই। বিএনপি এবং অন্যান্য দল থেকে সব মিলে ১২ জন প্রার্থী আছেন। তাহলে সেখানে নারীর ক্ষমতায়ন কিভাবে হবে। তারা তো সূচনাতেই নারীকে বাইরে রেখেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :