শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৬:৫৭ সকাল
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৬:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লতিফ সিদ্দিকী হাসপাতালে

মহসীন কবির : ধর্মঘটে থাকা টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট পালন করছিলেন তিনি। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর জন্য সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. শরীফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এখবর নিশ্চিত করেছেন।
শরীফ হোসেন বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর চিকিৎসা সেবায় ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়। তিনি শ্বাস কষ্টসহ নানা সমস্যায় ভূগছেন ।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মোফাজ্জল হোসেন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সুজাউদ্দিন তালুকদার ও রাশেদুল হাসান মঙ্গলবার দুপুরে লতিফ সিদ্দিকীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানান, লতিফ সিদ্দিকীর হৃদস্পন্দন কমে গেছে, রক্তচাপ বেড়েছে। তিনি আগে থেকেই ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত। তার হার্টে দুটি রিং পরানো আছে। ওষুধ বন্ধ রাখায় তিনি ঝুঁকির মধ্যে আছেন। চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন।

এদিকে গতকাল ছিল লতিফ সিদ্দিকীর ৮২তম জন্মদিন। জন্মদিনেও ধর্মঘটে অনঢ় ছিলেন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ। ৮২তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে এসে স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী তাকে ওষুধ সেবনের অনুরোধ জানান। তবে লতিফ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, বিচার পাওয়ার আগ পর্যন্ত তার মৃত্যু হলেও তিনি অনশন ভাঙবেন না।

প্রসঙ্গত গত রোববার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সড়াতৈল এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের সময় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও চারটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি কালিহাতী থানার ওসির প্রত্যাহারসহ তিন দফা দাবি জানান।

প্রবীণ এ রাজনীতিক রোববার দুপুর থেকে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন। লতিফ সিদ্দিকী হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং কালিহাতী থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন। তার সমর্থকরা জানান, এ কর্মসূচি শুরু করার পর থেকে তিনি খাদ্য গ্রহণ করেননি। মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টির সময় লতিফ সিদ্দিকীসহ চৌকিটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বারান্দায় তোলা হয়। দুপুরের পর ওই কার্যালয়ের সামনে একটি টিনশেডের নিচে নেয়া হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, এর পর ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী এবং ২০১৪ সালে ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী হন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক এ মন্ত্রী নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও কথা বলেন। এ কারণে মন্ত্রিত্ব হারান, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হন এবং সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়