শিরোনাম
◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৯:২৯ সকাল
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৯:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিজয়ী না হলে আবারও গণহত্যার মুখোমুখি হতে হবে: স্বদেশ রায়

বাংলা ট্রিবিউন : আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিজয়ী না হলে আবারও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মতো ভয়াবহ জেনোসাইডের (গণহত্যা) মুখোমুখি হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক স্বদেশ রায়। মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলন আয়োজিত ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিজয় দিবস’ শীর্ষক একক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় বলেন, ‘আমার মনে হয়, মঞ্চে এবং সামনে যারা উপস্থিত আছেন আমরা কেউ আর বাঁচতে পারবো না। তার চেয়েও বড় কথা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে পারবো না’। ১৩ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যে স্বদেশ রায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট ও জাতীয়তাবাদের বিজয় নিয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেন।

সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বদেশ রায় বলেন, ভাষা আন্দোলনে বিজয় ও ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্মের ভেতর দিয়ে পূর্ব বাংলার মানুষের এক ধরনের স্বতন্ত্র যাত্রা শুরু হয়। এই যাত্রার বিপরীতে তৎকালীন মুসলিম লীগ কোনও রাজনৈতিক মোকাবিলা বা সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার পথ কখনও অবলম্বন করেনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, এই মুহূর্তের রাজনীতিতে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিষয়টি গৌণ হয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় পরিচয়ের বিষয়টি প্রধান হয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের বিষয়টি এখন একেবারেই উপেক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের কারণে ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগ প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট পায়নি। শেখ হাসিনার পক্ষেও একে একেবারে উপেক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।

মুনতাসীর মামুন বলেন, ১৯ শতক থেকে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ প্রসারিত হয়ে আসছিলো। বঙ্গবন্ধু সেটাকে উপেক্ষা নয় বরং ভাষাভিত্তিক এবং অন্যান্য সকল উপাদান দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারাটি প্রসারিত করতে চেয়েছিলেন। যদি ’৭৫ –এর অভ্যুত্থান না হতো তাহলে হয়তো আজকে আমাদের এই সংকট দেখা দিতো না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়