শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৬:৪২ সকাল
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৬:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইশতেহারে নেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার: বিএনপি নেতারা যা বললেন

বাংলা ট্রিবিউন : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যেতে সক্ষম হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি এসেছে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে। তবে এই জোটের বড় শরিক দল বিএনপির নিজস্ব ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে কোনও বক্তব্য উল্লেখ না থাকায় চারদিকে নানা আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে এই বিষয়ে বিএনপির নেতারা বলছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি রয়েছে। জোটের ইশহেতারে মানেই বিএনপির ইশতেহার। ফলে বিএনপির ইশতেহারে আলাদা করে যুদ্ধপরাধীদের প্রসঙ্গ না থাকাকে বড় করে দেখার কোনও সুযোগ নেই।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনি ইশতেহারে জানিয়েছে, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চলমান থাকবে।’ তবে আজ (১৮ ডিসেম্বর) ইশতেহারে যে অংশটি সংবাদ সম্মেলনে সরবরাহ করা হয়েছে এবং যা মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পড়েছেন তাতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে কোনও কিছুই উল্লেখ নেই।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘ যা যা আছে আমরা বলেছি এখানে, বাকিটা বিস্তারিতের মধ্য পাবে। পুরো ইশতেহার আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।’ তবে Bnp bangladesh. Com ওয়েবসাইটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে , তাদের ওয়েবসাইট আটদিন আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য ওয়েবসাইটে ইশতেহার দেওয়া যায়নি।

দলটির নেতারা বলছেন, যুদ্ধপরাধীদের বিচারে বিএনপির সব সময় সমর্থন ছিল। এই বিচারের কোনও বিরোধিতা করেনি বিএনপি। প্রকৃত যুদ্ধপরাধীদের বিচারের পক্ষে ছিলেন তারা। সুতরাং ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা অনুযায়ী বিএনপি জোট রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে ‘প্রকৃত’ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখা হবে। এর জন্য আলাদা করে বিএনপির ইশতেহারে এই বিষয়টি যুক্ত করতে হবে এমন কোনও যৌক্তিকতা নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যা বলেছে, তা ঠিক আছে। তাছাড়া এগুলো তো ইশতেহারে আসার কোনও বিষয় নয়। ইশতেহার মানেই হচ্ছে ভিন্ন কিছু।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি থেকে বহুবার বলা হয়েছে যুদ্ধপরাধীদের বিচারের আমাদের সমর্থন আছে। এটা অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া ঐক্যফ্রন্ট ও আমরা তো একসঙ্গেই আছি। ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারের অনেক কিছু আমাদের ইশতেহারে নেই। আর আমাদের ইশতেহারের অনেক কিছু ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে নেই। কিন্তু বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট একসঙ্গেই আছে।’

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের ইশতেহারে তো মানবতাবিরোধীদের অপরাধের বিচার বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এর মানে হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও এই বিচার অব্যাহত থাকবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নতুন কী করবে সেই বিষয়গুলো ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপি কখনও যুদ্ধপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করেনি। আমরা সব সময় চেয়েছি সেটা যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়। বিচারের নামে যেন কাউকে ঘায়েল করা না হয়।’

জাতীয় ঐক্যফন্ট ও ২০ দলীয় জোট দুই জোটেই বিএনপি রয়েছে উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন,‘ এ কারণে একটা জোটের ইশতেহারে যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিয়য়ে বলা হয়, তাহলে অন্য জোটের ইশতেহারে না থাকাকে তো খুব একটা বড় বিষয় নয়। কারণ, মূল বিষয় হচ্ছে বিএনপি যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাচ্ছে কিনা। আমরা সব সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের চেয়ে এসেছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি জোট ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখবে। ‘প্রকৃত’ যুদ্ধাপরাধীদের বাছাই করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা ও মীর কাশেম আলীর। এছাড়াও একই ধরনের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন দলটির সাবেক আমির গোলাম আজম, সাবেক নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ অনেকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়