সৌরভ নূর : ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির বলেছেন, ‘বর্তমানে অসম ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যে এনআরসি (নাগরিকপঞ্জি) প্রয়োগের পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের।’ এরআগে ভারতে অবৈধভাবে আসা কথিত বাংলাদেশিদের ‘ঘাড় ধাক্কা’ দিয়ে বের করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সূত্র : রেডিও তেহরান
এ সম্পর্কে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র সম্পাদক ও কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হক মঙ্গলবার রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘ঠেলার নাম বাবাজি। বিজেপি ঠেলা খেয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে। তাঁরা গোহারা হেরেছে! ইলেকেক্ট্রনিক ভোট যন্ত্র (ইভিএম) না থাকলে বিজেপির বহু প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। সুতরাং তাঁরা ঠেকে বুঝেছেন মানুষকে খেপিয়ে লাভ নেই।
তারপরেও তাঁরা ‘বাঙালিদের উইপোকা’ বলা থামাবে না, বাঙালি-অবাঙালি বিদ্বেষ-বিভাজন থামবে না, তাঁরা নানাভাবে উসকে দেবেন। তাঁরা মিজোরামে মিজো ও অ-মিজোদের লড়িয়ে দেবেন, অসমে অসমিয়াদের সঙ্গে অ-অসমিয়াদের, ত্রিপুরায় ত্রিপুরিদের সঙ্গে বাঙালিদের, তাঁরা এই খেলাগুলো খেলতে থাকবেন। কারণ, বিজেপির খেলা কিন্তু দ্বিমুখী নয়। বিজেপির খেলা বহুমুখী।’
তিনি আরও বলেন, একদিকে তাঁরা দলিতদের সর্বনাশ করছেন, আবার তাঁরা দলিতদের জন্য সংগঠন করছেন। একদিকে তাঁরা আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন, অন্যদিকে বনবাসী পরিষদ গড়ে তুলছেন। এদিকে তাঁরা সংখ্যালঘুদের সর্বনাশ করছেন, অন্যদিকে মুসলিম মঞ্চ নামে সংগঠন গড়ে তুলছেন। সুতরাং বিজেপি মুখে যা বলে কাজে তার বিপরীত করে, এটা প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য সাম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এনআরসি প্রসঙ্গ নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছিলেন, ভারতের কেন্দ্রে ও রাজস্থানে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় ফিরে এলে অনুপ্রবেশকারীদের বহিষ্কার করা হবে। তিনি কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের একাধিকবার ‘উইপোকা’ বলে অভিহিত করে তাদেরকে বেছে বেছে বিতাড়ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :