স্বপ্না চক্রবর্তী : চলতি অর্থবছর রপ্তানি আয় ৪৬ বা ৪৭ বিলিয়ন ডলার হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে ব্যবসায়ীদের সিআইপি (কমার্শিয়াল ইমপর্টেন্ট পারসন) কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দেশের রপ্তানি আয়ের চিত্র তুলে ধরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৬ বিলিয়নেরও বেশি। আর সেবা খাত নিয়ে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৪১ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছর পণ্য খাত থেকে ৩৯ বিলিয়ন ডলার আর সেবা খাতথেকে ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে মোট ৪৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ৫ মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ২৩৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ইতিমধ্যে রপ্তানি হয়েছে ১৭ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ৫ মাসেই লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের ঠিক একই সময়ের চেয়ে ১৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এই হিসেবে বলা যেতে পারে, চলতি অর্থবছর রপ্তানি আয় ৪৫ বা ৪৬ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। এছাড়া রপ্তানি আয় ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন আর ২০৩০ সালের মধ্যে ১শ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানান তিনি। এসময় তিনি তৈরি পোশাক নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে এই খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩০ বিলিয়ন ১৬ কোটি ডলার। এবার ৩২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এটা আশাকরি অর্জন হবে। কারণ গত জুলাই, আগস্ট ও নভেম্বর এই ৩ মাসে প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে পোশাক খাতে। গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইউ) রপ্তানি হয়েছে ২১ বিলিয়ন ৩৩ কোটি ডলার। এবার আরো বেশি হবে। পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বুঝতে হবে কারখানা চালু থাকলে শ্রমিকরা কাজ করতে পারবে। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে শ্রমিকরাও বেকার হয়ে যাবে। পণ্যের দাম বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বহু দেশে গিয়েছি কিন্তু পণ্যের দাম বাড়ায় না ক্রেতারা। তার ওপর রানা প্লাজা ধ্বসের পর কারখানাগুলোকে সংস্কার করতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে মালিকদের।
নির্বাচন উপলক্ষে তিনি বলেন, দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে স্বাধীনতার চেতনার মূল্যবোধের শক্তি। যাদের নেতৃত্বে দেশ সকল খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর অন্যদিকে স্বাধীনতা বিরোধীরা। এখন আপনার বিবেক ও বিবেচনা দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।
অনুষ্ঠানে রপ্তানি বাণিজ্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৩৭ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্ড দেয়া হয়। এছাড়া সিআইপি (বাণিজ্য) নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪১ পরিচালক। যারা কার্ড পেয়েছেন তারা ২০১৬ সালে নির্বাচিত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :