সুজন কৈরী : হাসপাতালের বিছানায় ছুরি দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন শাহনাজ বেগম লিলি (৪২) নামে এক গৃহবধু। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার ভোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ লিলির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে।
মৃত লিলি করিমগঞ্জ রুঙ্কান মহিলা মহিলা মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর থানার পারধাই কাঠালিয়া গ্রামে। তার স্বামী রফিকুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের কিরাতন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে রিফাত আহমেদ সানি এসএসসি পরীক্ষার্থী আর ছোট ছেলে সিফাত আহমেদ সাদি সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র।
হাসপাতালে লিলির স্বামি রফিকুল ইসলাম জানান, লিলি ২০১৩ সাল থেকে ব্রেস্ট ক্যান্সারে ভুগছিলেন। গত বছর তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন। পরে এ ঘটনায় ঢামেকের বার্ন ইউনিটে তার শরীরে অপারেশনও করা হয। কিন্তু কিছু দিন ধরে আবারো ক্যান্সারের যন্ত্রণা বেড়ে যাওয়ায় তাকে গত ৯ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ৫ তলার ৫২৭ নম্বর কক্ষে ছিলেন লিলি। সোমবার তাকে কেমোথেরাপিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগের যন্ত্রনায় লিলি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালের বিছানায় ফজরের নামাজের পর ফল কাটার ছুরি দিয়ে গলা কেটে ফেলেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে লিলিকে উদ্ধার করে ঢামেকের জরুরী বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
শাহবাগ থানার এসআই মশিউর রহমান বলেন, মানসিক অবসাদ থেকে লিলি নিজেই ফল কাটা ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :