আমাদের সময় : মরে গেলেও নির্বাচন বর্জন করবেন না জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমার লাশ ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাবে। আঙুলটাতো থাকবে। ওটা দিয়েই ভোট দেবো। সোমবার বিকেলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, সারাদেশের ৩০ জেলায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়।
গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন অনেক ক্ষমতার অধিকারী। তারপরও নির্বাচন কমিশন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেটাই তো বুঝতে পারছি না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন চায় না আমরা নির্বাচন করি। তারা চায় আমরা যেন ভোটের মাঠ থেকে বেরিয়ে আসি।
তিনি বলেন, নির্বাচন হতে হবে। আমি মারা গেলেও নির্বাচন বর্জন করবো না। আমার লাশ ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাবে। আঙুলটাতো থাকবে। ওটা দিয়েই ভোট দেবো। আমার লাশও নির্বাচন বর্জনের কথা বলবে না।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এই নেতা বলেন, আমাদের অভিযোগ সম্পর্কে জেনে সিইসি বিব্রত হয়েছে। আমরা বলেছি, শুধু বিব্রত হলে চলবে না। এগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ড. কামাল বলেন, আমি ৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর এজেন্ট ছিলাম। ৫৫ বছরের অভিজ্ঞতায় এমন পরিস্থিতি দেখিনি। সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে। ঢাকায় কেবল একটি দলের পোস্টার আছে। অন্য দলের প্রার্থীদের কোনো পোস্টার নেই। অনেক খারাপ-ভালো নির্বাচন দেখেছি। এমন দেখিনি।
এর আগে, দুপুর ২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত রয়েছেন।
অন্যদিকে বৈঠকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :