শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:২১ সকাল
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংসদ হোক দেশবিরোধীমুক্ত

মিঠুন মিয়া : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে দেশ। গণতন্ত্রের অন্যতম সোপান হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। অর্থাৎ আগামী পাঁচ বছর কে বা কারা দেশের নেতৃত্ব দিবেন, তা নির্ধারণ হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। ভোটের মাধ্যমেই চূড়ান্ত হবে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি নাকি বিরোধী অপশক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হবে। বিষয়টি অত্যন্ত বেদনার যে, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও দেশবিরোধীদের নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি আন্দোলন, সংগ্রাম ও ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের ফসল। অপশক্তিকে পরাজিত করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু বাংলার মাটি  থেকে পরাজিত অপশক্তির যড়ষন্ত্র এবং আস্ফালন আজও শেষ হয়নি। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি একাত্তর থেকেই নানা চক্রান্ত করে আসছে। তারা এখন ওঁৎ পেতে আছে। সুযোগ পেলেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী আবার সরব। এই নির্বাচনের মাধম্যে দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী কোনো অপশক্তি যেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসে, সে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। রাষ্ট্রের ক্ষমতায় স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ব্যক্তি, তাদের সহযোগী, মদদদাতা এবং স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তানদের আমরা দেখতে চাই না। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই। রাজনীতি থেকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বর্জন করার রায় এই নির্বাচনের দিতে হবে। ক্ষুধা-দারিদ্র্য-সন্ত্রাস-মাদক-দুর্নীতি-জঙ্গিবাদমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয়ের উদ্দীপ্ত হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে। পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। অপশক্তিকে পরাজিত করে আমাদেরকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। এই নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের বারবার স্মরণ করতে হবে। জাতির সূর্য সন্তানদের স্বপ্ন, চিন্তা, চেতনা ও দর্শনের আলোকে বাংলাদেশ এগিয়ে নিতে হবে। তাদের দেখানো পথেই আমাদের যেতে হবে এবং তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার সময় এখন। তবেই হবে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদন। দেশের তরুণ প্রজন্মকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রকে রুখে দেয়ার সময় এসেছে। দেশকে বারবার উল্টো পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপশক্তি যুগেযুগে যড়ষন্ত্র চালিয়ে আসছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও দেশকে স্বাধীনতাবিরোধী মুক্ত হয়নি। বরং তাদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। এই অপশক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনা ছাড়া জাতির সামনে আর কোনো উপায় নেই। কাজেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির বীর সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। পরাজিত করতে হবে দেশবিরোধী চক্রকে। জাতীয় সংসদে দেশবিরোধীদের কোনো স্থান নেই।  লেখক : শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্বদ্যিালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়