স্বপ্না চক্রবর্তী : ন্যূনতম বেতন-ভাতা সম্পর্কিত ভুল-বোঝাবুঝিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের এক অংশ কাজে ফিরলেও অপর অংশ এখনও দ্বিধাগ্রস্থ রয়েছে। তবে মঙ্গলবার নাগাদ ওই অংশও কাজে ফিরে যাবে বলে আশা করছেন পোশাক মালিকদের পাশাপাশি শ্রমিক নেতারাও। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় খাত পোশাক শিল্পে কোনোরকম অরাজকতা চায় না কোনো পক্ষই।
জানা যায়, মজুরির দাবিতে কর্মবিরতির পাশাপাশি আন্দোলনে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের মধ্যে আশুলিয়া ও সাভারের কারখানাগুলোর শ্রমিকরা সোমবার সকাল থেকেই নিজ নিজ কারখানা কাজ শুরু করেছে। কিন্তু গাজীপুরে ৪/৫টি কারখানার শ্রমিকরা তখনো কর্মবিরতি পালন করেছে।
বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি জানান, সাভার-আশুলিয়ার এয়ারজিন্স, নিট এশিয়া, অনন্ত, ইউপ্রেডিয়াসহ প্রায় সবগুলো কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফিরেছে। তবে গাজীপুরের ডেল্টা গার্মেন্টস, কেয়া নিট, আলীম নিটসহ আরও ৬/৭টি কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফিরেনি। তবে পরিস্থিতি শান্ত আছে। যারা কাজে ফিরেনি তারাও আজ থেকে কাজে ফিরে যাবে বলে মনে করছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা শ্রমিক সংগঠনগুলোর সাথে কথা বলেছি। সরকারের সাথে কথা বলেছি। সরকারের সিদ্ধান্ত মতোই শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির গেজেট বাস্তবায়িত করছি। এরপরও একটি তৃতীয় পক্ষের উসকানিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি করছে। যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। দেশের অর্থনীতির এত বড় খাতটিতে এরকম ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। শ্রমিক নেতারাও আমাদের সাথে একমত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তাদের মধ্যকার সৃষ্টি হওয়া বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করছেন। আমাদের মালিকরাও বিভিন্নভাবে শ্রমিকদের বোঝাচ্ছেন যে সরকার নির্ধারিত কাঠামো অনুসারেই আগামী মাসে ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হবে। এর আগে যেনো কোনো আন্দোলনে না আসেন তারা। আশা আকরছি শ্রমিকরা তাদের ভুল বুঝে আজ থেকে পুনরায় কাজ শুরু করবে।
আপনার মতামত লিখুন :