রাশিদ রিয়াজ : ২৩০ আসন বিশিষ্ট ভারতের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নতুন বিধায়কদের এক তৃতীয়াংশই পেরোতে পারেননি স্কুলের গণ্ডি। নবনির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে ১২ জন শুধু স্বাক্ষরটুকু করতে পারেন বা ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়েছেন। সাতজন বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা ক্লাস এইট পাশ। ১৩ জন বিধায়ক পাশ করেছেন দশম শ্রেণির পরীক্ষা, আর ৩৭ জন থেমে গেছেন দ্বাদশের পরীক্ষা দিয়েই। ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নবনির্বাচিত বিধায়কদের এক তৃতীয়াংশই পেরোতে পারেননি স্কুলের গন্ডিটুকুও। তারপরও এই পরিসংখ্যানকে তুলনামূলকভাবে উজ্জ্বলই বলা যেতে পারে। কারণ গতবারের বিধানসভা থেকে এবারের বিধানসভার বিধায়করা শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে আছেন! টাইমস অব ইন্ডিয়া
ভোটে দাঁড়ানোর আগে প্রার্থীরা যে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমানপত্র পেশ করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখেই উঠে আসছে এই চমকপ্রদ তথ্য। তবে এতে কোন ‘অসুবিধাই’ দেখছেন না বিধায়করা। কেবলমাত্র নিজের স্বাক্ষরটুকু করতে পারেন নিওয়ারি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অনিল জৈন। তাঁর কথায়, ‘আমি এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিধায়ক নির্বাচিত হলাম। মানুষের কাজ করার জন্য আমার কোন শিক্ষার দরকারই পড়েনা’। একই সুর পোহারি কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক সঞ্জয় দাকাদের গলায়। তিনি বলছেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে সরপঞ্জ ও পাঁচ বছর ধরে মান্ডির সভাপতি। আমার অভিজ্ঞতা ও বাকিদের সহযোগিতায় আমাকে কখনই শিক্ষার অভাব নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি। কোন বাধাও আসেনি কাজে। বিজেপির আরেক বিধায়ক প্রেম সিংয়ের দাবি, ‘মানুষের সেবা করতে গতানুগতিক শিক্ষার কোন প্রয়োজনই নেই।’
তবে, শিক্ষায় পিছিয়ে থাকলেও বৈভবে কিন্তু এগিয়েই আছেন এই বিধায়করা। প্রেম সিংয়েরই যেমন সম্পত্তির পরিমান ৫ কোটি টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতা শুধুই সই করতে পারা, এমন বিধায়কদের মধ্যে সবচেয়ে ‘গরীব’ বিধায়ক বিএসপির রামবাই গোবিন্দ। তাঁর সম্পত্তির পরিমান ‘মাত্র’ ৯৬ লাখ টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :