শিমুল মাহমুদ : প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ' শিরোনামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮ ইশতেহার (প্রতিশ্রুতি) ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মতিঝিল পূর্বাণী হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
ইশতেহারের ৬ নাম্বার ‘কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা’ প্রতিশ্রুতিতে তরুণ সমাজকে লক্ষ্য করে দেয়া হয়েছে নানা প্রতিশ্রুতি।
#পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী ব্যতীত সরকারী চাকরিতে প্রবেশের জন্য কোন বয়স সীমা থাকবেনা ।
#সরকারি চাকুরিতে শুধুমাএ অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা ছাড়া আর কোনো কোটা থাকবে না।
#ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষিত বেকারের জন্য বেকার ভাতা চালু করা উদ্দেশ্য রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা পরীক্ষা করে বাস্তবায়ন করার জন্য এশটি কমিশন গঠন করা হবে।
# আগামী ৩ বছরের মধ্যে সব সরকারী শূন্য পদে নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। ব্যাপক সংখ্যক নন-গ্র্যাজুয়েটের কর্মসংস্থান হবে কৃষি উৎপাদন এবং কৃষি বিপনন সমবায়ে।
# দেশে কাজ করা ওয়ার্ক পারমিটবিহীন অবৈধ সকল বিদেশী নাগরিকের চাকুরি করা বন্ধ করা হবে।
# শিক্ষিত বায়োবৃদ্দদের জন্য নূন্যতম ভাতা রেখে অবৈতনিক খন্ডকালীন কর্মসংস্থান করা হবে।
# পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা ও বিনোদনের ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হবে।
# সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
# মোবাইল ইন্টারনেটের খরচ অর্ধকে নামিয়ে আনা হবে। দেশের বিভিন্ন গণ জমায়েতের স্থানে ও গুরুত্বপূর্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াফাই এর ব্যবস্থা করা হবে।
# প্রথম বছর থেকেই ডাকসু সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্টানে নিয়মিত ছাএ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করা হবে।
# বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ গুলোতে সরকারিভাবে শিক্ষা ব্যায় সুনিদিষ্ট করা হবে।
# মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কারিগরী শিক্ষা দিয়ে বিদেশে কর্মসংস্থান করা হবে। কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থায় আমুল সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করা হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ইশতেহারের সারসংক্ষেপ পাঠ করেন। এর আগে লিখিত বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
নির্বাচনে বিজয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যেসব কাজ সম্পন্ন করবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো-প্রতিহিংসায় বা জিঘাংসা নয়, জাতীয় ঐক্যই লক্ষ্য:
ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা; নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার; মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ; ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিতকরণ; স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এবং বিকেন্দ্রীকরণ; তরুণদের কর্মসংস্থান; শিক্ষা; দুর্নীতি দমন; স্বাস্থ্য; খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ; মাদক নিয়ন্ত্রণ; আইন শৃঙ্খলা বাহিনী; আদালত; কৃষি ও কৃষক; শিল্পায়ন; শ্রমিক কল্যাণ; ব্যাংকিং খাত, শেয়ারবাজার ও বাজেট; বিদ্যুৎ ও জ্বালানি; সামাজিক নিরাপত্তা; বয়োবৃদ্ধ; নারীর নিরাপত্তা এবং ক্ষমতায়ন; নিরাপদ সড়ক, যাতায়াত এবং পরিবহন; প্রবাসী কল্যাণ; গণমাধ্যম; ডিজিটাল প্রযুক্তি; সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ; ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী; ক্রীড়া ও সংস্কৃতি; জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ; জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ; বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প; মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা; প্রতিরক্ষা; পররাষ্ট্রনীতি এবং অন্যান্য।