হ্যাপি আক্তার : আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সাবেক সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং এক নদী রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের আত্মপরিচয় এবং বাঙালি যে ভিন্ন জাতিসত্ত্বা তা অর্জন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব ও আত্মপরিচয় অর্জন করেছি। কিন্তু আমাদের সামাজিক অর্থনৈতিক মুক্তি, তা সর্বাংশে এখনো অর্জন করতে পারিনি। কেন অর্জন করতে পারিনি তার মুখোমুখি যদি দাঁড়াই তাহলে বলা যায়, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তার উল্টো যাত্রা শুরু হয়। যমুনা টেলিভিশনের ‘রাজনীতি’ টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় লেনিন বলেন, হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালির নিজস্ব কোনও জাতি ছিলো না। আমাদের জাতী রাষ্ট্র আমরা প্রতিষ্ঠিত করেছি। এই জাতি স্বাধীন রাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ভাগ্যেরও পরিবর্তন এসেছে। তবে সামরিক শাসন জিয়াউর রহমান এবং তার পরবর্তীতে জেনারেল এরশাদ তারা মুক্তিযুদ্ধের যে মহান লক্ষ্য জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং গণতন্ত্র সেই মৌলিক নীতিমালাগুলোকে সংবিধান থেকে ছেড়ে ফেলে দিয়ে ছিলো। এমন কি তারপরে জিয়াউর রহমানের দল তারা যখনি ক্ষমতায় এসেছে তখনি তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্জনগুলোকে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তার সাথে যুদ্ধাপরাধীদের তারা প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, ৭৫-পরবর্তী যে গণতান্ত্রিক ধারা তার থেকে যে বিচ্যুতি ঘটে এবং হত্যা-সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু হয়। যার ফলে আমাদের উন্নয়নের পথ এবং স্বাভাবিক গণতন্ত্রের বিকাশের পথ থেকে আমরা বিচ্যুতি হই। সে কারণে দেশের যে কাক্ষিত উন্নয়ন তার ব্যাঘাত ঘটে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রের যে শাসনতন্ত্র সেখানে মিলিটারি দ্বারা বাংলাদেশকে নিয়ে যায়। যার ফলে না পেয়েছি গণতন্ত্র, না পেয়েছি উন্নয়ন এবং দেশের সংবিধান থেকে যে পঞ্চম সংশোধনী করা হলো জিয়াউর রহমান এবং এরশাদের আমলে, যা হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে। সেগুলোর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের চরিত্র পালটে দেয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :