আব্দুর রাজ্জাক : বাংলাদেশের জন্মবার্ষিকী হিসেবে ১৬ ই ডিসেম্বরে বিজয় দিবস পালন করেছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। এদিনটিকে মর্যাদা দিয়ে বিজয় দিবস হিসেবে স্মরণ করেছে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতও কারণ এতে তাদের অনন্য অবদান রয়েছে। তবে তাদের স্মরণে নেই বাংলাদেশের কৃতিত্বের কোন স্বীকৃতি। দিবসটিকে তারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর একক কৃতিত্বের ফল হিসেবেই স্মরণ করেছে। বিবিসি বাংলা
ঠিক সাতচল্লিশ বছর আগে ১৬ ই ডিসেম্বরে ঢাকায় ভারতীয় বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনার আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের। দিবসটি স্মরণে বিভিন্নভাবে বিবৃতি দিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনী, মন্ত্রী বা বিরোধী রাজনীতিকরা অনেকেই। বাদ যাননি, তারকা খেলোয়াররাও।
ভারতীয়দের অধিকাংশের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বরের এই দিনটিকে 'দেশটির সেনাবাহিনীর অসাধারণ সাফল্য' বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তাদের বিবৃতিগুলো পড়লে বিজয় দিবসের সঙ্গে যে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক আছে তা বোঝার উপায় নেই।
এ দিন সকালেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, ‘১৯৭১-এ যে নির্ভীক ভারতীয় সেনারা লড়াই করেছিলেন, আজ বিজয় দিবসে তাদের অদম্য সাহসকে স্মরণ করি। তাদের বীরত্ব আর দেশপ্রেমই আমাদের ভূখ-কে সুরক্ষিত রাখতে পেরেছে। এই মহান অত্মত্যাগ প্রত্যেক ভারতীয়কে চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে।’
প্রধানমন্ত্রীর টুইটের জবাবেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যে মন্তব্য করেছেন তাতেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নেই। বরং ঢাকাতে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১-এ পাকিস্তানি সেনার আত্মসমর্পণের একটি রঙিন ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের পরাক্রমের নজির হল এই ছবিটি - ১৯৭১র বীর যোদ্ধাদের শত শত প্রণাম!’
ভারতীয় বিমান বাহিনীর টুইটার অ্যাকাউন্টেও বিজয় দিবসকে পুরোপুরি 'ভারতের বিজয়' বলেই বর্ণনা করা হয়েছে।
যুদ্ধের বীর সেনানীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বিমান বাহিনী একটি ছবিও পোস্ট করেছে - যার ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘১৯৭১-র যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক বিজয়কে উদযাপন করতেই বিজয় দিবস পালন করা হয়ে থাকে।’
অন্যদিকে ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী অবশ্য এদিন বিকেল পর্যন্ত অন্তত বিজয় দিবস নিয়ে কোনও টুইট-ই করেননি।
সাবেক ক্রিকেট তারকা বীরেন্দ্র সেবাগ বাংলাদেশ উল্লেখ না করেই তার টুইটে লিখেছেন, ‘৪৭ বছর আগে, ১৯৭১ সালে আজকের দিনটি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন ছিল।’
আপনার মতামত লিখুন :