সাজিয়া আক্তার : পদ্মশ্রী হিমাংশু মোহন চৌধুরী, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২০১৩ সালে তাকে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা দেয় বাংলাদেশ সরকার। ১৯৭১ সালে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী ত্রিপুরার সোনামুড়া দিয়ে প্রবেশ করে। সেই সময় সোনামুড়ার সাব ডিভিশনাল অফিসার ছিলেন তিনি। ঘর হারা, দেশ ছাড়া লাখো বাংলাদেশিকে আশ্রয় দিয়েছিলেন ত্রিপুরার মানুষ। সে সময় মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণও নিতেন সেখানে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অসাধারণ অবদানের জন্য গোটা দেশের কাছে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। আজ ২০১৮, সামনে নির্বাচন বাংলাদেশে, গোটা দেশ নির্বাচনী আমেজে ভাসছে।
মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’য় ভূষিত পদ্দশ্রী হিমাংশু মোহন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ আমার কাছে বন্ধু রাষ্ট্র, সেই দেশের প্রতি সহযোগিতা করা স্বাভাবিক। ১৯৭১ সালের মে মাসে সোনামুড়ার দায়িত্ব নেই আমি। জুন মাস থেকে ¯্রােতের মতো লোক বাংলাদেশ থেকে ভারত আসতে থাকে। সোনামুড়াতে ১ লাখ মতো লোক ছিলো, বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ শরণার্থী আসতে থাকে তাতে করে সোনামুড়ায় দুই থেকে তিন গুণ লোক বেড়ে যায়। ১৯৭১ সালে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো বাংলাদেশ স্বাধীন হবেই। সেই সময়ে জয় বাংলা নামে একটি স্লোগান ছিলো। সেটাই ছিলো বাংলাদেশ জয়ের দৃঢ় প্রত্যয়। দীর্ঘ ৪০ বছর পর আমাকে সম্মাননা দেয়ার পেছনে রাজনৈতিক অপচিন্তা থাকতে পারে। যাদের মুক্তিযুদ্ধে কোনো অবদান নেই তাদেরকেও ডেকে নিয়ে অভ্যর্থনা দিয়েছে, এমনও লোক আছে।
পদ্মশ্রী সম্মাননা’য় ভূষিত হয়েছে যিনি, তার অবদানের জন্য মুক্তিযুদ্ধে সেই মানুষটিকেই বাংলাদেশ প্রায় ৪০ বছর পরে ২০১৩ সালে বলছে আউট স্ট্যান্ডি ফ্রেন্ড অব বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :