শিরোনাম
◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৩৬ দুপুর
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো : নানক

জিয়াউদ্দিন রাজু : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাইনি তাতে কি হয়েছে। দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আনতে চাই। এ ক্ষেত্রে দলকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমাদের নতুন সময়ের এ প্রতিবেদককে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে নানক এসব কথা বলেন।

ঢাকা-১৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য তিনি। তিনি বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদ। ১৯৬৯ সালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু করেন। তার পর থেকে দলের জন্য আবিরাম কাজ করে যাচ্ছি। আমার কোন ছন্দপতন নেই। আমি ছন্দপতনহীন ভাবেই দলের জন্য কাজ করে যাব।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। তবুও দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দল থেকে মনোনয়ন পাননি, তারপরেও দলের জন্য কিভাবে কাজ করবেন?

নানক বলেন, দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, করে যেতে চাই। আমি মনোনয়ন পাইনি এমন ঘোষণা শুনেই দলীয় কার্যালয়ে চলে গেছি। প্রথম আমি দলের মানুষ, তারপর এমপি-মন্ত্রী। দলের জন্য বিরামহীন কাজ করছি।

দলের যারা বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে কিভাবে কাজ করছেন?

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি দলীয় নেতা-কর্মীদের গভীর আস্থা ও বিশ্বাস। ইতোমধ্যে নেত্রী বিদ্রোহী প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দিয়েছেন। পাশাপাশি নির্বাচনের পরিচালনা কমিটি সার্বক্ষনিকভাবে মনোনয়নবঞ্চিতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়টি সুন্দর সমাধান হয়েছে।

এ পর্যন্ত কত জন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীকে ‘বসে’ গেছে? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ২৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। এর মধ্যে প্রায়ই উঠে গেছে। আশা করছি বাকিরাও প্রত্যাহার করবে।

আপনি দলের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন, সমন্বয়টা কিভাবে করবেন? জবাবে নানাক বলেন, নির্বাচন ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমরা বিগত ১ বছর যাবৎ নির্বাচন নিয়ে কাজ চলছে। প্রার্থীরাও সেটাই করেছেন। নির্বাচনে ভোটের মালিক জনগণ। নির্বাচনের প্রক্রিয়াই হলো- জনগণের কাছে যাওয়া, জনগণের হৃদয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলা। আমাদের দলের জন্য সব চেয়ে বড় পুঁজি হলো আমাদের নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা মানুষের কাছে। তিনি গত ১০ বছরে যে উন্নয়ন করেছেন। এই উন্নয়নকে সামনে রেখেই আমরা নির্বাচন করছি। আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়।

বিএনপি বলেছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সকল কেন্দ্র পাহারা দেবে। এ বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন? তিনি বলেন, এটা হলো একটা রাজনৈতিক স্ট্র্যানবাজি। যে দলটি গত ১০ বছরে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন নি, যে দলের আন্দোলন করার সৎ সাহস থাকে না। সাহসী নেতৃত্বের অভাব। যে দল একটি দূর্নীতিপরায়ণ দল। যে দল মনোনয়ন বানিজ্য করে, সে দলের কর্মীরা কখনও পাহারা দেয় না। পাহারা দেয় জনগণ। এ ধরনের বক্তব্য তাদের বাগাড়াম্বর, উলু বনে মুক্ত ছড়ানোর মত।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো থেকে আগামী নির্বাচনে ৩’শ আসনের জন্যই টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নানক বলেন, শুধু ৩০০ আসনেই টিম গঠন করা না। নির্বাচনকে ঘিরে আমরা গত ১ বছর ধরে কাজ করছি। আমি একটি এলাকার (মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলানগর) সংসদ সদস্য। এবার মনোনয়ণ পাই নি। কিন্তু যিনি ওই এলাকায় মনোনয়ন পেয়েছেন, তিনি সব কিছু রেডিমেড পেয়েছেন। সেখানে আমরা সব সহযোগী সংগঠনের নির্বাচনের কেন্দ্র কমিটি করেছি। আবার তাদের সমন্বয়ও করা হচ্ছে। আমাদের দলের যে নির্বাচনী সমন্বয় সেটা কিন্তু অভূতপূর্ব সমন্বয়। সারা বাংলাদেশের সমস্ত সহযোগী সংগঠনগুলো কমিটি করেছে। এবং নির্বাচনের দিনে একটি সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে কাজ করবো। আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে বিগত বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের। এখন সেটাকেই আমরা কাজে লাগাচ্ছি।

এবারের নির্বাচনেও ২০১৪ সালের নির্বাচনের মত বিএনপির নাশকতার আশঙ্কা করছেন কিনা? এবিষয়ে বলেন, বিএনপির মতি-গতি এখনও বোঝা যায় না। আসলে তারা কি করতে চায়। তারা আমাদের সতর্ক দৃষ্টিতে রয়েছে। যে তারা নির্বাচনকে অংশ গ্রহণ করবে, না নির্বাচনে একটি পর্যায়ে গিয়ে নির্বাচন বয়কট করে দেশে একটি আরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। দেখেন, সাপকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না।

বিষধর সাপকে বিশ্বাস করা যাায় কিন্তু বিএনপি নামক দলটিকে বিশ্বাস করা যায় না। কারণ তারা আর্ন্তজানিক ভাবে স্বীকৃত। দুনীতিতে তারাই চেম্পিয়ান হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়