সাব্বির আহমেদ : ১৯৭১ যেমন ছিল জাতির জাগরণের, তেমনি ২০১৮-ও হবে নতুন প্রজন্মের জাগরণের সাল। বর্তমান প্রজন্মকে তাই আরেকটি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে হবে। টিকিয়ে রাখতে হবে স্বাধীনতার চেতনা। বর্তমান অবস্থানকে ধরে রেখে নতুন দিগন্তে ছুটতে হবে।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি তিতুমীর কলেজে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় অংশ নেন সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ, সাংবাদিক আবেদ খানসহ তিতুমীর কলেজের সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কে এম রহমতুল্লাহ বলেন, ৩০ ডিসেম্বর নেতিবাচক কিছু হলে সকল অর্জন ম্লান হয়ে যাবে। সকল অপশক্তির অবসান ঘটাতে হবে। ওইদিন হবে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের হাতকে মজবুত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে হবে। ৭১'র মতো এ যাত্রায়ও জয়ী হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস জানতে হবে। সকলকে জানাতে হবে।
বর্তমান রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ড. কামাল হোসেন কখন ওই বাংলাদেশের মানুষ ছিলেন না বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক আবেদ খান। তিনি বলেন, কামাল হোসেন আগেও দেশের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। এসব থেকে সতর্ক থেকে ৩০ ডিসেম্বর রণক্ষেত্রে অংশ নিতে হবে।
সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে বিজয় দিবসের মাহাত্ম্য ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে আরও বক্তব্য রাখেন সরকারি তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মোসা. আবেদা সুলতানা, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক কামরুন নাহার, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান জুয়েল মোড়ল প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিজ্ঞানের শিক্ষক সালমা মুক্তা।
বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বারোপ করে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে বলেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার আহবান জানান। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বের বাংলাদেশ কামনা করেন।
পরে দিবসটি উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে 'গ্রাম বাংলায় মুক্তিযুদ্ধ' শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সবশেষ দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :