রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, শান্তি চুক্তির দুই দশক পরও পাহাড়ে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। পার্বত্য জেলাসমূহে বসবাসরত শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের বেঁচে থাকার মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি; অঞ্চলের প্রয়োজনীয় উন্নয়নও সাধিত হয়নি।
শনিবার কাপ্তাই সদর, কাপ্তাই বাজার, কেপিএস অঞ্চল ও মারমা অঞ্চলসহ রাঙামাটির কয়েকটি অঞ্চলে নির্বাচন উপলক্ষে তিনি গণসংযোগ করেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য জেলাসমূহের এক বড় অংশ জুড়ে সাধারণ মানুষকে এখনও আতঙ্কের মধ্যেই দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। বলপ্রয়োগ ও চাঁদাবাজি নিত্যকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি পার্বত্য জেলাসমূহে স্থানীয় সরকারকে জোরদার ও ক্ষমতাসম্পন্ন করারও দাবি জানান। তিনি পার্বত্য অঞ্চলে পর্যায়ক্রমে সামরিক উপস্থিতিও কমিয়ে আনার কথা বলেন।
সাইফুল হকের সঙ্গে গণসংযোগে ‘কোদাল’ মার্কার প্রার্থী জুঁই চাকমা, পার্টির রাঙ্গামাটি জেলার সম্পাদক নির্মল বড়ুয়া মিলন, কেন্দ্রীয় নেতা মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, ফিরোজ আহমেদসহ জেলা নেতৃবৃন্দরাও অংশগ্রহণ করেন। পার্বত্য রাঙ্গামাটির বঞ্চিত ও অবহেলিত পাহাড়ী-বাঙালিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পার্টির রাঙ্গামাটি জেলার নেত্রী জুঁই চাকমাকে ‘কোদাল’ মার্কায় ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনে বিজয়ী করার জন্য রাঙ্গামাটিবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন এবং জুঁই চাকমা পাহাড়ী-বাঙালির ঐক্যের প্রতীক। তিনি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাম জোট মনোনীত জুঁই চাকমাকে বিজয়ী করে পার্বত্য এলাকার আপামর জনগণের মুক্তির সংগ্রামকে নতুন পর্যায়ে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। এজন্যে তিনি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে সকল দল ও প্রার্থীর জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :