রাশিদ রিয়াজ : চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশটির শেয়ারবাজারে। বিপর্যয়কর ধস ও পতনে চীনের পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীরা এবছর অন্তত ২ লাখ কোটি ডলার খুঁইয়েছে। বিশেষ করে চীনের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে হার্ডওয়্যার শিল্পের শেয়ার পতন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। গত এক দশকে চীনের শেয়ারবাজারে এধরনের পতন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগামী বছর চীনের শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের জন্যে কোনো সুখবর আপাতত নেই এবং পরিস্থিতি আরো বিপর্যয়কর হয়ে দাঁড়াবে কি না এ আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের পেয়ে বসেছে। ব্লুমবার্গ
স্বাভাবিকভাবে চীনের শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ভোক্তাদের খরচের ওপর। তারা আর আগের মত কেনাকাটা করছেন না বলে খুচরা বিক্রেতাদের ব্যবসায় মন্দা চলছে। ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন তার ধাক্কা সরাসরি আঘাত হেনেছে প্রযুক্তি শিল্প খাতের ওপর। ফলে চীনের শিক্ষা, ওষুধ শিল্পে বরাদ্দ কমেছে। শেয়ার বাজারে সবগুলো শিল্পগ্রুপের সিএসআই ৩০০ সূচক এবছর ১০ শতাংশ পড়ে গেছে। চীনা বিনিয়োগকারীদের মুখে একটাই কথা ঘুরপাক খাচ্ছে কেবল, ‘ টাকা তৈরির কোনো সুযোগ নেই’! চীনা খুচরা বিনিয়োগকারীদের প্রত্যেকেই অন্তত ১ লাখ ইউয়ান লোকসান গুনেছেন। চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ ধস ফেলেছে সাংহাই কম্পোজিট সূচকের ওপরও। এমনকি হংকং’এর শেয়ার বাজারও রেহাই পায়নি। বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারের ওপর ‘ওয়েট এন্ড সি’ ধরনের অপেক্ষার অবসান আর হচ্ছে না।
সাংহাইয়ে ৩৭ বছরের চীনা বিনিয়োগকারী চেন ইন বলেন, তার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করা। বাজারের পতন আমাকে হতাশ করে ছেড়েছে। চেন ৫ বছর আগে ৪৩ হাজার ৪১০ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার পর এখন তার অর্ধেক পুঁজি উধাও হয়ে গেছে। চেন ১০ কোটি চীনা শেয়ার বিনিয়োগকারীদের একজন যারা তাদের জীবনের সঞ্চয়টুকু শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :