জুয়েল খান : প্রখ্যাত সাংবাদিক কামাল লোহানী বলেছেন, স্বাধীন হওয়ার পরে দেশ কারা চালাবে কারা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে, তাদেরকে টার্গেট করে বুদ্ধিজীবিদেরকে হত্যা করা হয়। যাতে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারি। শুক্রবার রাতে ডিবিসি নিউজের এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সকল মানুষ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে। মূলত তখন দেশটা দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। একটি অংশ স্বাধীনতার পক্ষে আর একটা বিপক্ষে। সেই বিপক্ষের শক্তি আজ জামায়াতে ইসলামী হিসাবে রাজনীতি করে আসছিলো, পরে উচ্চ আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। তারা এবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছে। আর তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন ড. কামাল হোসেনের মতো অন্যতম সংবিধান প্রণেতা। তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সহযোগী এবং আদর্শের ধারক বলে দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, পাকিস্থানিরা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং মেধাবীদের ধরে ধরে হত্যা করে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শব্দ সৈনিক হিসাবে কাজ করেছে। আমাদের দেশের অনেক সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ্যে কাজ করেছে। আকাশবাণী কলকাতার একজন সংগীতশিল্পী গোবিন্দ হালদার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গান করেছেন মানুষকে অণুপ্রেরণা দিয়েছেন, যদিও তিনি বাংলাদেশের মানুষ ছিলেন না। তারাও মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি জানান, শহীদ জননী জহানারা ইমাম, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দসহ সবাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সমাবেশ করে। সেই সমাবেশে দেশের হাজার হাজার মানুষ যোগদান করে, সেই থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে এই বিষয়টা সামনে আসে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয় এবং তাদেরকে সাজা দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :