মারুফুল আলম : ঢাকার গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, নির্বাচনের সময় মানুষের কাছে ভোট চাইতে নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দেন তাতে ইশতেহার কাজে লাগে, কিন্তু তা নির্বাচনের পরে ফলোআপ হয় না। জনগণও ইশতেহারকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয় না। শনিবার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শন ইশতেহারে প্রতিফলিত হবার কথা। উন্নত দেশগুলোতে নির্বাচনী ইশতেহারই শুধু না, দলের নেতারা বিশেষ করে অর্থনৈতিক বিষযে বিভিন্ন নীতিমালার ফলাফল কী হবে বা সমাজের কোন স্তরকে কীভাবে দাগ কাটবে সে বিষয়েও তর্ক-বিতর্ক করে থাকেন। কিন্তু আমাদের দেশে তা হয় না এবং ইশতেহারটাও খুব একটা গুরুত্বের সঙ্গে বানানো হয় না। রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই দায়সারা হয়ে সেটি বানিয়ে থাকেন। অর্থনৈতিক বিষয়গুলো লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে নির্ধারিত হয় না।
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের এই প্রতিশ্রুতিকে জনগণ কতটা গুরুত্ব দেয় এ বিষয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এটি অনেকটা দায়িত্বের মতো যে, দেয়ার জন্য দেয়া। বানালাম আর দিয়ে দিলাম। সাধারণ জনগণও তাই সেটাকে খুব একটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয় না। নাগরিকসমাজ বা গণমাধ্যমের মধ্যেও ইশতেহার বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, সরকারি অনেক কর্মকাণ্ড ইশতেহারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে করা হয় কী না প্রশ্ন থেকে যায়। মানুষ তাহলে কিসের ভিত্তিতে ভোট দেয়? এ প্রশ্নের জবাবে ফাহমিদা খাতুন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উপর মানুষের আনুগত্য থাকে আর সরকারে থাকাবস্থায় কে কী কাজ করলো সেই হিসেবে মানুষ আসলে ভোট দিয়ে থাকে, ইশতেহারের দিকে তেমন একটা তাকায় না।
আপনার মতামত লিখুন :