লীনা পারভীন : মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি কিন্তু দেখছি। ১৯৭১ দেখিনি কিন্তু দেখছি। পাকিস্তানিরা সেদিন কোনোভাবেই এতোটা হিং¯্রতা করতে পারতো না যদিনা আমাদের দেশে জন্ম নেয়া কিছু হারামখোর তাদের সঙ্গী হতো। বাংলাদেশ সেই দেশ যে দেশকে মগজশূন্য করে, বিকলাঙ্গ করে দিতে চেয়েছিলো পাকিস্তানি দোসররা। মুক্তি যখন ঠেকানো যাচ্ছিলো না তখনই মরণ কামড় দিয়ে ‘জেনোসাইড’ চালিয়েছিলো তারা।
আমরা কি ভুলে যাবো সেইসব অত্যাচারের কথা? ভুলে যাবো কতোটা কষ্ট দিয়ে, অত্যাচার করে মেরেছিলো আমাদের পিতা, ভাই, চাচাদের? ভুলে যেতে পারি? ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় একজন আলতাফ মাহমুদের হাতের নখ উপরে ফেলার কাহিনী, দাঁত ভেঙ্গে ঝুলে থাকার বর্ণনা পড়তে পারি না আমি। ভাবতে পারি না কতোটা দেশপ্রেমে তারা সহ্য করেছিলেন পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের অত্যাচার। আমরা কী সেই ঋণ শোধের দায় থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করে ফেলতে পারি?
এসেছে ডিসেম্বর মাস। সারাবছর ভুলে থাকলেও এই ডিসেম্বরে কেমন করে অকৃতজ্ঞ হবো আমরা? আসছে ৩০ তারিখে তাই ব্যালটের ভাষায় আরেকবার জানিয়ে দেবো, দিতে চাই, এই বাংলায় কোনো স্বাধীনতাবিরোধীর ঠাঁই নাই। আমরা রুখে দেবোই তাদের। দিতে হবে আমাদের নিজেদের অস্তিত্ত্বকে জানান দেবার জন্য। আর এভাবেই সামিল হবো মুক্তিযুদ্ধে। ৭১- এ ছিলাম না কিন্তু ২০১৮- তে আছি। দেশের প্রয়োজনে আবারও আমরা বুলেট নয়, ব্যালট তুলে নেবো। রাজাকার, আলবদর ও তাদের মতো কারোই এদেশের মাটিতে থাকার বা রাজনীতি করার অধিকার নাই? জয় বাংলা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :