শিমুল মাহমুদ : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন বলেছেন, মনে রেখো সরকার আইনের উর্ধ্বে না ৷ এটাই স্বাধীনতার অর্থ।
ড.কামাল হোসেন বলেন, বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে সেটি শহীদদের জন্য অবমাননাকর। এটি মেনে নেয়া যায় না। যারা হামলা করেছে এবং যারা হামলার নির্দেশ দিয়েছে তাদের বিচার করা হবে রিয়েল আদালতে।
শুক্রবার বিকেলে পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের নিশ্চুপ ভূমিকা ও ধরপাকড় নিয়ে ড. কামাল বলেন, সংবিধানে প্রথম স্বাক্ষর জাতির জনকের। তোমরা বঙ্গবন্ধুর আদেশ অমান্য করছো? জেনে রেখো কেউ চিরস্থায়ী নয়। তোমরা ৫০-৫৫ বছর চাকরি করবে, বুঝে নিও, সংবিধান ভঙ্গ করার কাজ করো না। কার আদেশে এমন কাজ করছো তা আমাকে জানাও।
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পুলিশ তোমরা এটা জেনে রাখো, যারা বেআইনি আদেশ দিচ্ছে কেউ চিরস্থায়ী নয়। যারা কোনো আইন ভঙ্গ করছে না তাকে এরেস্ট করে সংবিধান লংঘন করেছো। পুলিশ, তোমরা কার কথা মতো এগুলো করছো? কে বাধ্য করছে যারা আদেশ দিচ্ছে, তাদের রিয়েল আদালতে বিচার হবে।
ড.কামাল আরো বলেন, আইজি সাহেব, আপনার ব্যাপারে আমি ভালো জানি। আমি লিখিত চিঠি পাঠাবো আপনাকে। আজকে পুলিশের ব্যাপারে যা শুনেছি, তা বিশ্বাস হচ্ছে না। আপনি বিশ্বস্ত লোকদের দিয়ে তদন্ত করান। আমরা তদন্তে সহযোগিতা করবো।
তিনি বলেন, যারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে হামলা করেছে এরা কারা? এদের পরিচয় কী? কয় পয়সা পেয়ে তোমরা এই কাজ করেছো? এটা কোনো সুস্থ, দেশপ্রেমিকের কাজ হতে পারে না। এই হামলায় শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে। আজকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এটাও ভুলে গেছে তারা। যারা এ হামলা করেছে তাদের আমি ভাড়াটিয়া বলবো। ওরা দুই পয়সার জন্য এ কাজ করেছে। আমি তোমাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি চার পয়সা দেবো, তোমরা সরে যাও।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ১৫ দিনের জন্য ক্ষমতায় আছো, বেআইনি আদেশ দেয়া বন্ধ করো। মাথা ঠান্ডা রেখে এসব বন্ধ করো। ভালো কিছু করো ৷ মনে রেখো সরকার আইনের উর্ধ্বে না ৷ এটাই স্বাধীনতার অর্থ।
আপনার মতামত লিখুন :