বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশাল-১ আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি এম. জহির উদ্দিন স্বপনের নির্বাচনী পথসভায় ও গণসংযোগে যোগদানের অভিযোগে গৌরনদী উপজেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে কতিপয় যুব ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। শুক্রবার দুপুরে গৌরনদী পৌরসভার বাদামতলা নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বরিশাল আইনজীবি ফোরামের সদস্য ও গৌরনদী উপজেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গতকাল শুক্রবার বন্ধের দিনে বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করার জন্য মোটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়ি চাঁদশী গ্রামে যাওয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে গৌরনদী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাদামতলা নামক স্থানে পৌছলে যুব ও ছাত্রলীগের ১৫/২০ নেতাকর্মী (যাদের আমি দেখলে চিনি নাম জানিনা) আমাকে মোটর সাইকেল ধামাতে বলে। আমি মোটর সাইকেল ধামালে বরিশাল-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের নির্বাচনী সভায় যোগদানের অভিযোগ এনে তারা লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়ে আমাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় আমার মোটর সাইকেলটি ভাংচুর করে তারা।
ধানের শীর্ষের প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন অভিযোগ করেন, গতকাল শুক্রবার সকালে আমার সঙ্গে দেখা করে নিজ বাড়ি ফেরার পথে আধুনা গ্রামের যুবলীগকর্মী হারুন আকন দলবল নিয়ে পথরোধ করে বিএনপি কর্মী আব্দুল মান্নান, বুলবুল সরদার, মাসুদ করিমকে পিটিয়ে আহত করেছে। এ ছাড়া মাহিলাড়া বাজারের সুমন সরদার, শাহজাহান সরদার ও আমিন উদ্দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে। স্বপন আরো বলেন, গতকাল শুক্রবার নলচিড়া ইউনিয়নে আমার প্রচারনা চালানোর কথা ছিল কিন্তু সেখানে প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হয়েছে বিষয়টি জানার পরে প্রশাসনকে অবহিত করি। প্রশাসন কর্মকর্তাদের অনুরোধে সহিংসতা এড়াতে আমি কর্মসূচী বাতিল করেছি।
এ প্রসঙ্গে গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাহাবুব আলম বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে যুব ও ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী জড়িত নন।
আপনার মতামত লিখুন :