এল আর বাদল : ক্রিকেট বোর্ড আর ফুটবল ফেডারেশনসহ ঢাকায় ৪৪টি ক্রীড়া ফেডারেশন রয়েছে। যারা বছর জুড়ে কম বেশি খেলা আয়োজনে ব্যস্ত থাকে। তবে সরকারি অর্থ আর পৃষ্ঠপোষক নির্ভর তাদের সব আয়োজন। সব ফেডারেশন থেকে একটু ব্যতিক্রমী পথে হাঁটছে বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশন।
টুর্নামেন্ট পরিচালনার জন্য সরকারি অনুদান খুব একটা না পেলেও পৃষ্ঠপোষকদের যত সামান্য অর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ফেডারেশনের নিজস্ব অর্থায়নে স্কেটিংয়ের বিভিন্ন ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কোনো ফেডারেশনের ক্রীড়া কর্মসূচি নিজস্ব টাকায় পরিচালনার নজির নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, স্কেটিং ফেডারেশনের অর্থ উপার্জনের উৎস কোথায়?
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আসিফুল হাসান বলেছেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘বিশ্বকাপ রোলবল’কে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সামনে পৌনে দুই বিঘা জায়গার উপর ১৩ কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৭০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের নামে চারতলা বিশিষ্ট শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স তৈরি করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি এই কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন।
আসিফুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক ও স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে স্কেটিং কমপ্লেক্সের উপরিভাগে সোলার প্যানেলে আবৃত করা হয়েছে।
এখান থেকে উপার্জিত টাকা দিয়ে ফেডারেশনের রক্ষণাবেক্ষণসহ স্টাফদের বেতন আর টুর্নামেন্টের খরচাদি বহন করে থাকি। সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, সোলারের মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন ২০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ পেয়ে থাকি।
প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা সোলার দ্বারা উৎপাদিত বিদ্যুৎ ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) কাছে বিক্রি করা হয়।
তিনি বলেন, সোলার বিদ্যুতের সুবিধা শুধু আমরাই ভোগ করি না। আমাদের কমপ্লেক্সের জিমনেসিয়ামে আবাসিক অনাবাসিক স্কেটারদের অনুশীলনের পর বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের খেলোয়াড়রাও অনুশীলন করে থাকে। বিদ্যুৎ খরচ দিতে হয় না বলেই আমরা বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্টের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে পারছি।
আপনার মতামত লিখুন :