শিরোনাম
◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী 

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৫:১৯ সকাল
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৫:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিষ্ঠুরতায় সমতা এবং একটি নিখোঁজ সংবাদ

প্রভাষ আমিন : ১. দেশে এখন চলছে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা। আগে নির্বাচনের আওয়াজ শুরু হলেই বেজে উঠতো প্রচারণার ঢোল। সেই দিন এখন নেই, নেই রঙিন পোস্টারের বাহার, নেই দিনরাত মাইকের অত্যাচার। এখন ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহ আগে থেকে প্রচারণা শুরু হয়। মাইকের ব্যবহার সীমিত, পোস্টারও সাদাকালো। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর সোমবার থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। মঙ্গলবার প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা নির্বাচনী উত্তাপ যেন উত্তপ্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে সবার প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার আহ্বান বাতাসে মিলিয়ে যাওয়ার আগেই রক্ত ঝরেছে নির্বাচনী সংঘর্ষে। নোয়াখালী ও ফরিদপুরে নির্বাচনী সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের দুজন মারা গেছেন। একইদিনে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে, নরসিংদীতে হামলা হয়েছে ড. মঈন খানের গাড়িবহরে। দেশের আরো অনেক জায়গায় হামলা-পাল্টা হামলার অভিযোগ আসছে। তার মানে এতদিন আমরা যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবি করে আসছিলাম, অবশেষে তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ সমতা নিষ্ঠুরতার। যে যেখানে পারছে, সে সেখানে শক্তি প্রয়োগ করছে। এটা অনাকাক্সিক্ষত। আমরা নিষ্ঠুরতার সমতা চাই না, চাই ন্যায্যতার সমতা।

নির্বাচনী সংঘর্ষে প্রাণহানি এবং হামলার ঘটনায় বিব্রত হয়েছেন সিইসি। তিনি বলেছেন, একটা মানুষের জীবন নির্বাচনের চেয়েও মূল্যবান। তাকে ধন্যবাদ। কিন্তু নিছক বিব্রত বা মর্মাহত হওয়াতেই সিইসির দায়িত্ব শেষ নয়। নির্বাচনী সহিংসতায় যেন রক্ত না ঝরে, উত্তাপ যেন উত্তপ্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে কঠোরভাবে তা নিশ্চিত করতে হবে।

২. নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যেই এরশাদ তার পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে অপসারণ করে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দায়িত্ব দেন। হাওলাদারের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রকাশ্য অভিযোগ করছিলেন মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা। কিন্তু অপসারণের ৫ দিনের মধ্যে এরশাদ রুহুল আমিন হাওলাদারকে প্রমোশন দিয়ে ফিরিয়ে আনেন। তার পদ বিশেষ সহকারী, পদমর্যাদা চেয়ারম্যানের পরেই। চেয়ারম্যান না থাকলে তিনিই সব দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর দিনেই এরশাদ উড়ে যান সিঙ্গাপুরে। পদমর্যাদা অনুযায়ী এখন রুহুল আমিন হাওলাদারেরই সব সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু সমস্যা হলো তাকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। ২৬ নভেম্বরের পর তাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তিনি কি অভিমানে আড়ালে আছেন, নাকি মনোনয়নবঞ্চিতদের ক্ষোভের হাত থেকে বাঁচতে আত্মগোপন করেছেন, বোঝা মুশকিল।

৩. দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড নিয়ে কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়া যে এবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, এটা সবাই জানতো। এমনকি বিএনপিরও তেমন মানসিক প্রস্তুতি ছিলো। কিন্তু মীমাংসিত সেই বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ঝুলে আছে। বগুড়া ও ফেনীর রিটার্নিং অফিসারের অভিন্ন ভুলের কারণে বিষয়টি জট পাকিয়ে গেছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(১) অনুযায়ী দন্ডিত হওয়ার বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। কিন্তু দুই রিটার্নিং অফিসারই তার মনোনয়ন বাতিল করেছেন ১২(১)ঘ ধারায়। এটি নির্বাচনী অপরাধের। কিন্তু যিনি ১০ মাস ধরে কারাগারে, তার পক্ষে কীভাবে নির্বাচনী অপরাধ করা সম্ভব? আপিলে নির্বাচন কমিশন বিভক্ত রায় দিয়েছে। বিভক্ত রায় এসেছে হাইকোর্টেও। এখন প্রধান বিচারপতি আলাদা বেঞ্চ করে দিয়েছেন। মীমাংসিত বিষয়কে এভাবে ঝুলিয়ে রাখা অনাকাক্সিক্ষত।

লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএননিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়