খায়রুল আলম : সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম বলেছেন, এ দেশের মেধাবী সন্তান, বুদ্ধিজীবী হত্যা একটি অপূরণীয় ক্ষতি। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের দেশের যে ক্ষতি হয়েছে, সেটা কখনো পূরণ করার নয়।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানিরা ভেবেছিলো আমাদের বুদ্ধিজীবীদের, মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে পিছিয়ে দেবে, কিন্তু তাদের সে আশা পূরণ হয়নি। মেধাবী সন্তানদের হারিয়েছি আমরা, কিন্তু দমিয়ে রাখতে পারেনি আমাদের। আজকে আমরা পাকিস্তানিদের থেকে অনেক এগিয়ে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তানিরা আমাদের থেকে অনেক দূরে আছে। আমরা এগিয়ে যাবো, চেয়ে চেয়ে দেখবে বর্বর পাকিস্তানিরা।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, একটি দিক আমার ভালো লাগে, নতুন প্রজন্ম এগিয়ে এসেছে। তারা আমাদের সাথে মিলে বাংলার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশ নিয়ে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের একটি স্বপ্ন ছিলো। তারা বেঁচে থাকলে হয়তো স্বপ্নগুলো অনেক আগেই বাস্তবায়ন হতো। তারা যেহেতু নেই, তাই এ প্রজন্ম বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে কাজ করছে। আজকে আমাদের দেশ বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আমরা উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের দিকে তাকালে আমার বুক ভরে যায়, যেভাবে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করছে, তা খুবই ভালো দিক। আমরা বুদ্ধিজীবীদের হারিয়ে এখনো কাঁদি। এখনো তাদের কথা মনে হলে বুকে শিহরণ জাগে। একসাথে এতোগুলো বুদ্ধিজীবীকে সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো পাকিস্তানিরা। পাকিস্তানিরা যখন দেখেছে যুদ্ধ করে আর পারা যাচ্ছে না। তখন এমন একটি চক্রান্ত করলো যেটা একটি স্বাধীন বাংলাদেশকে অনেকটা অচল করে দেওয়ার মতো। যার ফলস্বরূপ তারা বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো একটি নির্মম হত্যা কান্ড ঘটায়। সেদিন তাদের কুউদ্দেশ্য সফল হলেও, বর্তমানে পাকিস্তান একটি বর্বর দেশ আর বাংলাদেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে। তবে একটি বিষয় খুবই দুঃখজনক, অনেকে এখন মুক্তিযোদ্ধা নাম দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি যারা, বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে জড়িত ছিলো যারা, তাদের সাথে মিলিছে। এটি কী কখনো বুদ্ধিজীবীদের আত্মাকে শান্তি দিবে? আমার মনে হয় না।
আপনার মতামত লিখুন :