রবিউল হাসান ইমন : ডিসেম্বর মাসে আমরা ঢাকাতেই বিভিন্ন অপারেসনের সাথে যুক্ত ছিলাম এবং কি আমি নিজেই ও সেখানে যুক্ত ছিলাম। ঐ সময় ডিসেম্বরের ৫,৬ তারিখে আমরা একটা জিনিস লক্ষ্য করেছিলাম যখন মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সোলজাররা ঢাকার দিকে আসছিল তখন রাজাকার ওপাকিস্তানি আলবদররা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যতটা অস্ত্র ব্যবহার করছিল তার বেশী ব্যবহার করেছে বুদ্ধিজীবীদের জন্য।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন মোর্বাশ্বের হোসেন।
তিনি আরো বলেন, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। মুক্তিযুদ্ধকালে পুরো সময়জুড়েই পাকিস্তান হানাদার ও বদরবাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা। দেশকে মেধাশূন্য করে দিতে পরিকল্পিতভাবে তালিকা করে চালানো হয়েছিল এই হত্যাযজ্ঞ। মুক্তিযুদ্ধে যোগদান, মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশের কথা বলতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছিল এসব সূর্যসন্তানদের যাদের বাণী ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায়।
তিনি আবারও বলেন, কিন্তু, মুক্তিযুদ্ধের ৪৭ বছর পর কোথায় আজকের বুদ্ধিজীবী সমাজ? রাষ্ট্রের যেকোনও সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে কার বাণী কানে বাজবে তরুণদের? বর্তমান সময়ের বুদ্ধিজীবী ও তরুণদের প্রতিনিধিদের কেউ কেউ বলছেন, আমাদের দেশে দীর্ঘ সময় ধরে সুকৌশলে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়ার কারণে নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা মানুষ অবশিষ্ট থাকেননি। এ সময় তিনি বলেন, যখন যারা ক্ষমতাশালী তাদের সাথে থাকলে সুবিধা পাওয়া যায় বটে, তাকে কোনোভাবেই বুদ্ধিজীবী বলা যায় না। যখন যে সরকার আসবেন তাদের অনুসারী কিছু বিজ্ঞজনকে বুদ্ধিজীবী বলা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা বিদ্যমান ব্যবস্থাকে চ্যলেঞ্জ করতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের আপনি বিদ্বান বলতে পারেন, তারা বুদ্ধিজীবী নন, বুদ্ধিজীবীর দায় থাকে, সমাজের মানুষের প্রতি।
আপনার মতামত লিখুন :