শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৭:৩৭ সকাল
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৭:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাড়ছে সংঘাত উত্তেজনা

ইনকিলাব : নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম সারাদেশ। নৌকার প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালালেও বিভিন্ন জেলায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা বাধার মুখে পড়ছে। ধরপাকড়ও চলছে সমান তালে। যতই সময় যাচ্ছে ততই সংঘাত-উত্তেজনা বাড়ছে। গত তিন দিনে সারাদেশে কমপক্ষে ৫০টি নির্বাচনী আসনে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, তফসিল ঘোষণা দিয়ে ‘ইসি বধির’ আর ‘আইন শৃংখলা বাহিনী যেন বিএনপির প্রতিপক্ষ’ হয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছে।

নির্বাচনের মাত্র দুই সাপ্তাহ; অথচ ইসির ভ‚মিকা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। সিইসি কে এম নূরুল হুদা এবং ইসি কমিশনার মাহবুব তালুকদার নিত্যদিন মুখে কথার ‘খই’ ফুটালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। শতাধিক আসনে ধানের শীষের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে বাধা দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের উঠোন বৈঠক, সমাবেশ, শোভাযাত্রায় হামলার ঘটনা ঘটছে। আইনশৃংখলা বাহিনী কোথাও ‘নীরব দর্শক’ কোথাও হামলাকারী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পক্ষে সাফাই গাইছেন। গতকালও পাবনা, ঢাকা, লক্ষিপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেয়া হয়; হামলার ঘটনা ঘটে। অনেক জেলায় পুলিশের পক্ষপাতিত্ব আচরণের কারণে ধানের শীষ প্রার্থীরা প্রচারণা বের হতে পারছেন না। লক্ষীপুর-১ আসনের শাহাদাত হোসেন সেলিম, ঢাকা-৯ আফরোজা আব্বাস, পাবনা-১ অধ্যাপক আবু সাইয়িদসহ কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন পুলিশী ছত্রছায়ায় নৌকার প্রার্থীদের কর্মীরা হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এতে নির্বাচন নিয়ে যতই উত্তেজনা বাড়ছে; ততই সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। ইসি আদেশ নির্দেশ দিয়ে দায় এড়ানোর কৌশল গ্রহণ করেছে।

ঝালকাঠিতে গতকাল বিএনপির প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাবনায় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর উপর হামলা, খাগড়াছড়িতে ধানের শীষ প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলা, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রার্থীকে প্রচারণায় বাধা, গাজীপুর-৪, নোয়াখালী-৬, নরনিংদী-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থদের প্রচারণায় হামলার করা হয়। দিনাজপুরে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীকে ঘর থেকে বের হতে না দেয়া, নাটোরে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে বাধা, ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

নৌকার প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় সারাদেশ সরগরম করে তুলেছেন। সভা সমাবেশ উঠোন বৈঠক, পথ সভা সবকিছুই করছে নৌকার প্রার্থীরা বিনা বাধায়। কোথাও কোথাও পুলিশ প্রশাসন নৌকার প্রার্থীদের সহায়তাও করছে। কিন্তু বিএনপির প্রার্থীদের নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। গতকাল গাজীপুর-৫ আসনের প্রার্থী ফজলুল হক মিলনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনে বিএনপি প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাবকারী নগরের ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ সেকান্দর আলমকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির সিনিয়র নেতা ইসিতে গিয়ে বসে থেকে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের প্রচারণায় চালানোয় বাধা দেয়া হচ্ছে। ঢাকা-১, নরসিংদী-২, ময়মনসিংহ-২, ময়মনসিংহ-৩, ময়মনসিংহ-১১, মাগুরা-১, লক্ষীপুর-১, কুষ্টিয়া-৩, মাগুরা-২, টাঙাইল-৭, ফরিদপুর-২, ঢাকা-২, সিরাজগঞ্জ-২, সিরাজগঞ্জ-৩, পটুয়াখালী-১, মৌলভীবাজার-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩, নেত্রকোণা-৩, মানিকগঞ্জ-৩, চাঁদপুর-৪, নওগাঁ-২, পাবনা-১, রাজশাহী-৪ নারায়ণগঞ্জ-২, ঢাকা-৯ ও রাজশাহী-৬ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, আটক-গণগ্রেপ্তার ও পুলিশ প্রশাসনের হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়। এসব এলাকায় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে কমিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমাদের কাছে কেন যেন মনে হচ্ছে নির্বাচনটা ধানের শীষের পক্ষ থেকে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে না, মনে হচ্ছে যেন আমাদের প্রতিদ্ব›িদ্ব পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর নামে আক্রমণের পর আক্রমণ, যা মন চাচ্ছে, তাই করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের এমপি এবং মন্ত্রীদের তারা প্রটোকল দিচ্ছেন, নিরাপত্তা দিচ্ছেন। আর আমাদের ধরছেন, পেটাচ্ছেন, গ্রেপ্তার করছেন।
নোয়াখালীতে বিএনপি প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলা : আহত ১০

নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, হাতিয়ার নলেরচরে একদল দূর্ব্যত্ত বিএনপি প্রার্থী প্রকৌশলী ফজলুল আজিমের গাড়িবহরে হামলা চালায়। এতে ১০ জন আহত, ৮টি গাড়ী ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনতাই হয়। নোয়াখালী-৬ হাতিয়া আসনে ধানেরশীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এডভোকেট মোহাম্মদ ইউনুস জানান, ফজলুল আজিম নেতাকর্মীদের নিয়ে নলেরচরের থানারহাট বাজার ও দরবেশ বাজারে দু’টি বিরাট নির্বাচনী পথসভা শেষে আল আমিন বাজার যাবার পথে আওয়ামী লীগের একদল সন্ত্রাসী নৌক মার্কা শ্লোগান দিয়ে অতর্কিতে বিএনপি প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এতে ১০ জন আহত হয় ও ৮টি গাড়ি ভাঙ্গচুর। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী দ্র”ত এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। অপরদিকে হাতিয়া আসনে নৌকা মার্কার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. ইউসুফ আলী সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি প্রার্থী ফজলুল আজিমের সমর্থকরা দরবেশ বাজার ও আল আমিন বাজারে নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর করে। এতে স্থানীয় জনগন উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে।

রামুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর : টেকনাফে আটক ১৭
কক্সবাজার সংবাদদাতা জানান, কক্সবাজারের রামুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে । এ হামলায় অন্তত ৩৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং বিএনপির নির্বাচনী অফিসের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ করেন ধানের শীষের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল। আহত নেতাকর্মীদের রামুসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনী অফিসে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে আকস্মিকভাবে এই হামলা চালানো হয়।

তিনি আরো বলেন, রামুর খুনিয়াপালং, মিঠাছড়িতে বিএনপির নির্বাচনী মিছিলে হামলা এবং ফতেখাঁরকুল নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষে নেতাকর্মীরা অফিসে বসলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারেরা। হামলার সময় আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তার নিদের্শেই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনাটি ঘটে লুৎফুর রহমান কাজল অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিএনপির গণজোয়ার দেখে সরকারি দলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা জন রায়ে ভীত হয়ে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা না চালাতে নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এদিকে, টেকনাফে ধানের শীষের প্রচারণাকালে কক্সবাজার জেলা বিএনপি সদস্য হাশম মেম্বার, সোলতান মেম্বার ও কবির মেম্বারসহ ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পাবনায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আবু সাইয়িদের উপর হামলা : আহত ১০

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, পাবনায় ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদের নির্বাচনী বহরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গাড়িসহ দুটি গাড়ি ভাংচুর ও প্রার্থী আবু সাইয়িদ সহ ১০ জন আহত হয়েছেন। সূত্র মতে, ৩টি মোটর সাইকেল লুট করেছে হামলাকারীরা বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একটি মোটর সাইকেলের চালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ভাই শামীম তার পক্ষে একটি অভিযোগ বিকাল ৪টার দিকে সাঁথিয়া থানায় দিয়ে গেছেন। অভিযোগে ২০-২৫ জন অজ্ঞাত নামা দুর্বৃত্ত তাকে এবং তার নির্বাচনী নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাংচুর করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনি ৭জনকে চিনতে পেরেছেন। সাঁথিয়া অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তদন্তের আগে ৭জনের নাম বলা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান এ ব্যাপারে আবু সাইয়িদ তাঁর নির্বাচনী প্রতিপক্ষ বর্তমান এম.পি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর বির”দ্ধে কোর অভিযোগ আনেননি। সূত্র মতে, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ধোপাদহ ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারনার জন্যে যচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সাঁথিয়া বাজারে স্থানীয় লোকজনের সাথে কুশলাদি বিনিময় করার সময় অতর্কিতভাবে দুবৃর্ত্তরা তার এবং উপস্থ্তি তার নির্বাচনী প্রচারণায় থাকা নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তিনিসহ তাঁর প্রায় ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
ঝালকাঠিতে বিএনপির প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর

ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে বিএনপির প্রার্থী জীবা আমিনা খানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সকালে কয়েকটি মোটরসাইকেলে একদল যুবক এসে পার্কিং অবস্থায় থাকা জীবা আমিনা খানের গাড়িতে অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে ভাঙচুরের অভিযোগ দিয়ে ফেরার সময় পুনরায় হামলা চালানো হয়। এতে গাজী খায়র”জ্জামান শিপু, গাজী খালেদুজ্জামান টিটু, গাজী এনামুল হকসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির”ল ইসলাম নুপুর অভিযোগ করে বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এতে পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে না।
ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, রাস্তার কাজ চলমান থাকায় কিছু দুষ্কৃতকারী একটা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আড়াইহাজারে বিএনপির মিছিলে হামলা : আহত ১৫

স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, আড়াইহাজারে বিএনপির ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজর”ল ইলসাম আজাদের গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে। হামলায় নজর”ল ইসলাম আজাদ সমর্থিত তিনজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন র”হুল আমিন, মোশারফ ও কাদির। এসময় তাদের কয়েকটি গাড়িও ভাংচুর করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, নজর”ল ইসলাম আজাদ তার গাড়ি বহর নিয়ে প্রচারণায় যাওয়ার পথে ঢাকা সিলেট হাইওয়ে রোডে পুরিন্দা এলাকায় রাস্তায় ড্রাম ফেলে গতিরোধ করে হামলা চালানো হয়। এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী নজর”ল ইসলাম বাবুর সমর্থিত সাতগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অদুদ মাহমুদ ও তার বড় ভাই আব্দুল কাদির। তাদের সাথে ৫০ থেকে ৬০ জনের মতো কর্মী সমর্থকরা ছিলেন।

লক্ষীপুর আ্ঞ্চলিক অফিস জানায়, লক্ষীপুর-১ রামগঞ্জ আসনের ২০দলীয় জোট প্রার্থী শাহদাত হোসেন সেলিমের করপাড়ার বাড়িতে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খাঁনের সমর্থকরা বলে অভিযোগ করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী। দুইটি মোটরসাইকেল, সভা মঞ্চের চেয়ারটেবিল ও বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করা হয়। এসময় কহিনুর বেগম. জোসনা বেগম, যুবদল নেতা জুয়েল, টিপু সুলতান,শহিদুল আলম বাবলু ও আবুল কাশেমসহ ১০জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

২০দলীয় জোট প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, দুপুরে বাড়িতে নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা চলছিল। হঠাৎ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেন চৌধুরী ও করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুল হক মজিবের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মতবিনিময় সভায় হামলা চালায়। এসময় দুইটি মোটরসাইকেল, মঞ্চের চেয়ারটেবিল ও দুইটি ঘরে ভাঙচুর করা হয়। তবে রামগঞ্জের থানার পুলিশ মিছিলে পিছনে ছিল বলেও অভিযোগ করেন ধানের শীষের এ প্রার্থী। অপরদিকে করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুল হক মজিব এ হামলার কথা অস্বীকার করেন। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোতা মিয়া জানান, হামলার বিষয়টি তিনি জানেন না।
মনোহরদীতে বিএনপির প্রার্থীর গাড়ির বহরে হামলা: অগ্নিসংযোগ

সরকার আদম আলী নরসিংদী থেকে জানান, পলাশের পর এবার নরসিংদী -৪, মনোহরদী- বেলাব আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের গাড়ির বহরে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। দুর্বৃত্তদের হামলায় আবু বাককার, সজল, মনির ,বাবুল ও মুখলেস সহ বিএনপির কমবেশি ১০ জন ভোট কর্মী আহত হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে ১২টি মোটরসাইকেল। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ৯ টি মোটরসাইকেল। আহত ভোটকর্মীদেরকে কিশোরগঞ্জের ভাগলপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপির প্রার্থী সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল জানিয়েছেন, ভোটারদের সাথে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময়ের সময় মনোহরদী-বেলাবর এমপি ও নৌকা মার্কার প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের পুত্র সাদী পুলিশের সহযোগিতায় তার ভোট কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তারা দা ,লাঠি, ছোরা, ইত্যাদি নিয়ে তার গাড়িবহরের পিছন দিক থেকে হামলা চালায়। ঘটনার আকস্মিকতায় ভোট কর্মীরা অপ্রস্তুত হয়ে গেলে হামলাকারীরা তাদেরকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধোর করতে থাকে । এ অবস্থায় হামলাকারীদের সাথে পুলিশকে ঘটনাস্থলে দেখে বিএনপি'র ভোট কর্মীরা দৌড়ে পালাতে থাকলে হামলাকারীরা বিএনপি কর্মীদের ১২ টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ভাঙচুরকৃত ৯ টি মোটর সাইকেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে এমপি পুত্র সাদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না এটা বি এন পির আভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে জয়নাল সাহেবের গ্রুপের লোকেরা এই হামলা চালিয়েছে।

এদিকে বৃহম্পতিবার সকালে নরসিংদী-২, পলাশ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডক্টর আব্দুল মঈন খানের সমর্থকদের বাড়িঘরে দ্বিতীয় দফা হামলা চালিয়েছে সেখানকার আওয়ামী যুবলীগ কর্মীরা। সকাল ১১ টায় আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একদল উশৃংখল কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান যুবদল নেতা সুবহান, করিম , মোনাম্বর, ও মোবারক মেম্বার সহ বিএনপি'র ৫/৭ জন নেতাকর্মী ও ভোটকর্মীর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় আহত হয় কম বেশি ১০ জন ভোটকর্মী।
মুন্সীগঞ্জ বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় মুক্তিযোদ্ধাসহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এসময় দুর্বৃত্তরা কার্যালয়ের চেয়ার টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। আহতরা জানায় ১০/১৫ জনের একটি দল দলীয় কার্যালয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালায় তারা আমাদের উপর আক্রমণ করে বেধড়ক লাঠিপেটা এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

জেলা বিএনপি সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আ. হাই এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে হামলায় আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়।
নাটোরে গণসংযোগে বাধা

নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল আজিজকে গণসংযোগে বাধাদানসহ তাকে বহনকারী মাইক্রোবাসের চাবী কেড়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে, নিজ নিজ দোকানে বসে থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতাসহ দুইজনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার জন্য আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল আজিজ ও আহতরা।

আব্দুল আজিজ জানান, বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চামটা গ্রামে ১০-১২টি মোটরসাইকেলযোগে ২০-২৫ জন আওয়ামীলীগ-যুবলীগ কর্মী প্রকাশ্যে লাঠিসোটা নিয়ে তাকে ঘিরে এবং তাকে বহনকারী মাইক্রোবাস চালকের হাত থেকে চাবি কেড়ে নেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইক্রোবাসের চাবি ফেরৎ নেয়। অপরদিকে, সকাল ১১টার দিকে ১৫-২০ জন যুবলীগ কর্মী উপজেলার বাগডোব বাজারে নিজ দোকানে বসে থাকা অবস্থায় বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ডা. আবুল হাশেমকে (৫৫) এবং রোলভা বাজারে যুবদল কর্মীকে আব্দুস সামাদ (৪৫) কে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। বর্তমানে তারা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজর”ল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব ঘটনায় আওয়ামীলীগের কোন কর্মী জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
শেরপুর-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীর প্রচারনায় বাধা

ঝিনাইগাতী ( শেরপুর ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, শেরপুর- ৩ আসনে ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া হাই স্কুল মাঠে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী সাবেক এমপি মাহমুদুল হক র”বেলের নির্বাচনী পথসভায় ১৪৪ জারি করে পন্ড করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারনা শুর”র প্রথম দিন থেকেই শেরপুর-৩ ( শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি মাহমুদুল হক র”বেলকে নিয়মিত প্রচানায় বাধা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
ফরিদপুরে গ্রেফতার আতঙ্ক

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যহত রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ২ দিনে ১০ জন বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। ফরিদপুর মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তর”ন বিশ্বাস, ছাত্রদল নেতা রাকিব ও জনিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাবেক ছাত্রনেতা ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি ও জিএস এ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নুকে। অপরদিকে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মুন্সীবাজার এলাকার বিসমিল্লাহশাহ মাজার সংলগ্ন বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে দুবৃত্তরা। এই আগের দিনও ফরিদপুরে ২৫টি বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়। ফরিদপুরের সাধারণ ভোটাররা ও বিএনপির নেতাকর্মীর গ্রেপ্তার, হামলা, নির্যাতনের আতংকে আছেন।

কাপাসিয়ায় পোস্টারে আগুন : নির্বাচনী সভা পন্ডকাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে শামসুল হুদা লিটন জানান, গাজীপুর-৪, কাপাসিয়া আসনে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া ইউনুস মার্কেটে গত বুধবার সন্ধ্যায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ওয়ার্ড যুবলীগ ও ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনী প্রচার সভা পন্ড করে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। এ ঘটনায় দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আব্দুল গাফ্ফার বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীর বির”দ্ধে থানায় মামলা (নং ২৫ -১৩/১২/১৮) দায়ের করেছে। অপরদিকে পৃথক ঘটনায় মারামারি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে তরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আলম সিদ্দিকি বাদী হয়ে বিএনপির ৩৪ নেতাকর্মীর বির”দ্ধে মামলা (২৪- ১২/১২/১৮) দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সভাকে বানচাল করার জন্য কয়েকটি পটকা ফুটিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরী করে। পরে তারা তাদের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে আমাদের ৪৭ জন নেতাকর্মীর বির”দ্ধে গায়েবি মামলা দায়ের করেছে।

কুষ্টিয়ায় আ.লীগ বিএনপির পাল্টাপাল্টি হামলা
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী সরওয়ার জাহান বাদশার নির্বাচনী প্রচার ও গনসংযোগ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীরা। এসময় হামলাকারীরা দুই পক্ষের দু’টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। পরে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ কর্মীরা ইয়ার আলী মেম্বর নামে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুন জ্বালিয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যা রাতে উপজেলার মশাউড়া গোলচত্বর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ কর্মী সুরুজ (৪৫) রুয়েন (৩৫) আহত হয়েছে।

বাউফলে বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে জখম
বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী ) সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মো. মনির হোসেন (৩৫) নামে এক বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন মনিরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই রাতেই তাঁকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মনির হোসেন একই ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম লাল গাজী।
মনির হোসেন অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী মো. সজলের (২৭) নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল এসে তাঁকে হুমকি দিয়ে বলে বিএনপি করবি আর ব্যবসা করবি তা হবে না। এখানে ব্যবসা করতে হলে আওয়ামী লীগ করতে হবে এবং আমাদের নেতা-কর্মীদের টাকা ছাড়া খাওয়াতে হবে। এর প্রতিবাদ করায় তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মো. সজল বলেন,‘এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তাই আমার জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।’

ঢাকার দোহারে বিএনপির গণসংযোগে পুলিশের লাঠিচার্জ
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাকের গণসংযোগ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় ১৬৩ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশের কাজে বাঁধা, নাশকতা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক আইনে তাদের বির”দ্ধে মামলা হয়। দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাশেদ চোকদার ও পৌর যুবলীগ ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি বাদি হয়ে এ মামলা করেন। এ ঘটনায় বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাকসহ ১৮ জন আটক করেছে পুলিশ। আহত হয় অন্তত ২৫ নেতাকর্মী।

বৃহস্পতিবার দুুপুর ১২টায় আটক আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেছে দোহার থানা পুলিশ। তবে বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাককে রাতে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বুধবার বিকেলে দোহারের লটাখোলা করম আলী মোড় থেকে ধানের শীষ প্রতীকের মিছিল বের হলে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে দোহার থানা ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, বিএনপি প্রার্থী আবু আশফাককে আটক করা হয়নি। তাকে নিরাপত্তার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে। এ বিষয় দোহার উপজেলা বিএনপি সভাপতি শাহবুদ্দিন আহম্মেদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ বলেন আমাদের অনুষ্ঠান হয়েছে বিকেলে আর মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে সন্ধ্যায়। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়