আব্দুর রাজ্জাক, নূর মাজিদ : মধ্যপ্রদেশে স্থানীয় কংগ্রেস প্রধান কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছে কংগ্রেস। জ্যেষ্ঠতার বিচারে দলের জাতীয় মহাসচিব অশোক গেহলটের পরিবর্তে তাকেই নিয়োগের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনে পাঁচটি রাজ্যে বিজয়ী হয়ে তিনটি রাজ্যে সরকার গঠন করছে কংগ্রেস। যে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হয়েছে সেগুলো হলো, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা ও মিজোরাম। ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে।

এর মধ্যে ছত্তিশগড় রাজ্যে ৬৮ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে কংগ্রেস বিজয়ী হয়েছে। রাজস্থানেও তাদের সাথে বিজেপির বেশ ব্যবধান রয়েছে। রাজস্থানে ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। যদিও তারা মধ্যপ্রদেশে জোটগতভাবে জয় নিশ্চিত করেছে। রাজস্থানে মাত্র ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ও বিজেপির ভোটের ব্যবধান খুব বেশি ছিলোনা। তারা যথাক্রমে ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ৪৭ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট লাভ করে। তবে রাজনৈতিক জোটের মাধ্যমে রাজ্যটিতে বিজেপিকে সরকার গঠনের লড়াইয়ে হারিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। এনডিটিভি

নির্বাচনে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলটির ভরাডুবির পর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বুধবার প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে কথা বলেছেন। ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশে হিন্দু মৌলবাদি দল বিজেপি ক্ষমতা ছাড়ার পর আদিত্যনাথ বলেন, কংগ্রেস মূলত প্রতারণা করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনের শুরু থেকেই তারা ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন’র (ইভিএম) বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালিয়ে জয়লাভ করার পর এখন এর গুণগান গাওয়া শুরু করেছে।

এসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে জয় পরাজয় অবধারিত এবং এটি গণতন্ত্রের অংশ তাই আমরা নির্বাচনের ফল নি:সংকোচে মেনে নিয়েছি। কিন্তু বিজেপির পরাজয়ের মাধ্যমে কংগ্রেসের মিথ্যাচারগুলো প্রকাশিত হওয়া শুরু করেছে। তাদের এই মিথ্যাচারগুলো আগামী নির্বাচনে আমাদের হাতিয়ার হবে’ বলে আদিত্যনাথ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।