শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:৪১ রাত
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৩:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের আশাতীত অগ্রগতি হয়েছে : জেমস এফ মরিয়ার্টি

স্বপ্না চক্রবর্তী : বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের আশাতীত অগ্রগতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যালায়েন্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়াটি। তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে অ্যালায়েন্স আমাদের সদস্য ব্র্যান্ডগুলো ও অ্যালায়েন্স-অধিভুক্ত কারখানার মালিকরা বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা উন্নয়নে অভাবিত অগ্রগতি অর্জন করেছে। একইসঙ্গে সহায়তা করেছে পোশাক রপ্তানিতে সারা বিশ্বে নেতৃত্বের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে।

বৃহস্পতিবার পঞ্চম ও চূড়ান্ত বর্ষে অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটির নিরাপত্তা ফলাফল নিয়ে এক প্রতিবেদনে অ্যালায়েন্স এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি একথা বলেন। অ্যালয়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি পোশাকশিল্প সম্পর্কিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, অ্যালায়েন্স অধিভুক্ত কারখানাগুলো জুড়ে ৯৩ শতাংশ সংস্কার কাজ সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হয়েছে। যার ভেতর জীবনের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এমন ৯০ শতাংশ আইটেমের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৪২৮টি অ্যালায়েন্স-অধিভুক্ত কারখানা তাদের সংশোধনী কর্ম পরিকল্পনায় (ক্যাপ) উল্লেখিত সমস্ত মেরামত কাজ সম্পন্ন করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১৬ লাখ শ্রমিক অগ্নিকান্ডের জরুরি মুহূর্তে নিজেদের কীভাবে রক্ষা করতে হবে, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। অ্যালায়েন্স অধিভুক্ত কারখানাগুলোর বাইরে অন্য কারখানাগুলোতে এই প্রশিক্ষণের বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে অ্যালায়েন্স একটি স্থানীয় প্রশিক্ষণ অংশীদার গঠন করেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২৮ হাজার সিকিউরিটি গার্ড অগ্নি নিরাপত্তা ও জরুরি ভবন ত্যাগ প্রক্রিয়া বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়েছে। ১৫ লাখেরও বেশি শ্রমিক বর্তমানে ২৪ ঘণ্টা চালু গোপন শ্রমিক হেল্পলাইন ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে, যা একটি স্থানীয় সংস্থা ফুলকির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৮১টি শ্রমিক সেফটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, এর ফলে শ্রমিকরা ম্যানেজমেন্টদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসে তাদের কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্যার সমাধান করতে পারবে।

প্রতিবেদন প্রকাশ উপেলক্ষে জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেন, পোশাকশিল্পের অগ্রগতি বজায় রাখতে অবশ্যই একটি চলমান প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের সদস্য ব্র্যান্ডগুলোর কাছে অ্যালায়েন্স চলে যাওয়ার পর বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস অ্যালায়েন্সের এ অর্জনের ব্যাপক প্রশংসা করেছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, মার্কিন দূতাবাস কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ও শ্রমিক ক্ষমতায়নে ব্র্যান্ডগুলোর এই প্রচেষ্টার প্রতি দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়