মতিনুজ্জামান মিটু : চমক জাগাবে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর উদ্ভাবিত স্মার্ট ট্রান্সপোর্ট পদ্ধতি এয়ার কার। আর মাত্র তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই যাত্রাবাড়ি থেকে গাবতলিতে পৌঁছানো যাবে। ঘন্টায় ৪০০ কিলোমিটার বেগে চলবে এয়ার কার। পুরানো বিমানকে সামান্য মেরামত করে তৈরী এই এয়ার কার চলবে মাটির ওপর বা মাটির ২০ ফুট উপরে নির্মিত ফ্লাইওয়ে দিয়ে। ২১ শতকের পৃথিবীর মানুষের পছন্দের পরিবহন হয়ে উঠতে পারে এয়ার কার।
এয়ারপ্লেনের মতো করেই এয়ার কার চালানো হবে। উড়োজাহাজের মতো হাইজ্যাক ও ইঞ্জিন ফেলসহ বিভিন্ন কারণে হঠাৎ মাটিতে ভেঙ্গে বা আছঁড়ে পড়ার ঝুঁকি নেই এয়ার কারে। এতে চড়ে মানুষ উড়োজাহাজের মতোই আনন্দ পাবে। অথচ দ্রুত ও আনন্দময় এয়ার কারের যাতায়াতে খরচ হবে উড়োজাহাজের চেয়ে অনেক কম।
২০০৮ সাল থেকে এক নাগাড়ে গবেষণার পর ২০১২ সালের দিকে আশাজাগানিয়া এই ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমটি উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ। বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ সালে এই এয়ার কার প্রযুক্তির প্যাটেন্ট রাইট দেয়। যার সিরিয়াল নম্বর ১০০৫৫৬৮। ফ্রান্সের এয়ার বাস কোম্পানী ২০১৫ এটাকে তাদের ফ্লাই ইওর আইডিয়াস লিষ্টে অন্তর্ভূক্ত করেছে।
স্মার্ট এই পরিবহন পদ্ধতির উদ্ভাবক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, তুলনামূলক অনেক কম সময়ের মধ্যে সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাজুড়ে এই এয়ার কার চালু করা যেতে পারে। বাংলাদেশের বিমান হ্যাঙ্গার, ইউনাইটেড স্টেট ও ইউরোপসহ বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য বিমান বন ইয়ার্ড গুলোতে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এই সব বিমানকে সামান্য মেরামতেই এয়ার কার বানিয়ে চালানো যাবে। এতে খরচও খুব একটা বেশি হবেনা। আমাদের বাংলাদেশের বিমান হ্যাঙ্গারে ৪টি ডিসি ১০-৩০ মেগাডোলেন ডগলাচ বিমান গ্রাউন্ডেড হয়ে আছে। এই বিমান দিয়ে আমরা স্বল্প সময়ের এয়ার কার বানিয়ে চালাতে পারি। এর নির্ভরতা যাচাইয়ের জন্য পাইলট আকারে ইব্রাহিমপুর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ফ্লাইওয়ে বানিয়ে এয়ার কার চালানো যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :