শিরোনাম
◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন ◈ চাঁদপুরে পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত

প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৫১ দুপুর
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশে এলপি গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে ২১ ভাগ: জ্বালানি সচিব

শাহীন চৌধুরী: দেশে বর্তমানে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের পরিবর্তে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) জনপ্রিয় করার উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি সচিব আবু হেনা মোহাম্মদ রহমতুল মুমিন। তিনি বলেছেন, গত ১০ বছরে দেশে এলপি গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে ২১ গুণের বেশি। বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন এলপিজি ব্যবহার হচ্ছে। ২০০৯ সালে এলপিজির ব্যবহার ছিল মাত্র ৪৭ হাজার মেট্রিক টন।

এছাড়া পরিবেশবান্ধব এই গ্যাস সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে দুর্ঘটনাও হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে রহমতুল মুমিন এ কথা বলেন।

জ্বালানি সচিব বলেন, এলপি গ্যাস ব্যবহারের পাশাপাশি এ নিয়ে দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব দুর্ঘটনাকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সিলিন্ডারে উচ্চচাপে এলপি গ্যাস ভর্তি করার কারণে বিস্ফোরণ হয় না। আর প্রকৃতপক্ষে সিলিন্ডারে উচ্চচাপে এলপিজি ভর্তিও করা হয় না। এলপিজি ভর্তিজনিত কারণে কোনো সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয় না। প্রকৃত কারণ হচ্ছে সিলিন্ডার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না জানা। অসতর্কতা এবং সঠিক পরিবেশে সিলিন্ডার ব্যবহার না করা। সেইসঙ্গে সিলিন্ডারের গুণগতমান যাচাই না করা। তাই ব্যবহারকারী, উৎপাদনকারী ও বিপণনকারীকে সিলিন্ডার ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। তবেই দুর্ঘটনা কমে যাবে।

সচিব আরও বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- সিলিন্ডার চুলা বা আগুনের পাশে রাখা যাবে না। অতিরিক্ত গ্যাস বের করার জন্য সিলিন্ডারে তাপ দেওয়া যাবে না। রান্না শেষে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডার রেগুলেটরের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। চুলা সিলিন্ডার থেকে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি উপরে রাখতে হবে। বাল্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেগুলেটর ব্যবহার করা উচিত। রান্নার আধা ঘণ্টা আগে ঘরের দরজা জানালা খুলে দেওয়া ভালো। এলপিজি সিলিন্ডার খাড়াভাবে রাখা উচিত, কখনোই উপুড় বা কাত করে রাখা যাবে না এবং রান্নাঘরের উপরে ও নিচে ভেন্টিলেটর রাখা জরুরি।

মোহাম্মদ রহমতুল মুমিন বলেন, বাংলাদেশে এলপি গ্যাসের চাহিদা ৩০ লাখ মেট্রিক টন। এজন্য ৬০টি কোম্পানিকে প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলো অপারেশনে আসলে এলপি গ্যাসের মাধ্যমে অন্যদিকে জ্বালানি চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। বর্তমানে ১৭টি কোম্পানি এলপি গ্যাস গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়