উল্লাস মূর্তজা : ‘গণসংহতি আন্দোলন’ এর প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ভয়মুক্ত বাংলাদেশ চাই, কার্যকর গণতন্ত্র চাই। একমাত্র কার্যকর গণতন্ত্রই সকলের উন্নতি নিশ্চিত করতে পারে। বৃহস্পতিবার ‘আর টিভি’র ‘গোলটেবিল’ টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের সকল নাগরিক তাদের ভোটের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করবেন, ভোট দখলের তৎপরতাকে প্রতিরোধ করবেন। একমাত্র সেটাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আমরা ক্ষমতার দাপট দেখেছি, ক্ষমতার বাহাদুরি দেখেছি, রাষ্ট্্রযন্ত্র ও সরকারের মধ্যে যে একটা পার্থক্য থাকা উচিৎ, সেটা প্রত্যেকটা রাজনৈতিক নেকাকর্মীদের জানা উচিৎ। সেটা থাকলে রাষ্ট্র জনগণ ও সরকার সকলের জন্যই ভালো। রাষ্ট্্রযন্ত্র ও সরকার যখন একাকার হয়ে যায় তখন মানুষের অধিকার বলে আর কিছু থাকে না।
তিনি বলেন, সরকার অবশ্যই একটা পক্ষের হয়, বাকী একটা বিরোধী পক্ষ থাকে। এটাই গণতন্ত্রের স¦ীকৃত পদ্ধতি। রাষ্ট্র সকলের হয়ে ভূমিকা পালন করে। ফলে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নির্দেশ শুনলেও তাদেরকে একটা আইনী কাঠামোর মধ্যে দিয়ে শুনতে হয়। যখন সেটার বাইরে শোনার চেষ্টা করেন তখনই একাকার করার প্রশ্ন চলে আসে। সেটা কারো অধিকারের মধ্যে পরে না। রাষ্ট্রযন্ত্র দখল করা, অন্যের অধিকার খর্ব করা। কেউ যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধিত্ব পায়, তবু সে রাষ্ট্্রযন্ত্রের উপর সম্পূর্ণ প্রভাব বিস্তার করার অধিকার রাখে না।
জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রতিনিধির সংখ্যাগরিষ্ঠতার বাইরেও লোক থাকে। গণতন্ত্রে তার অধিকারটাও স্বীকৃত। সেই জায়গাটা স্বীকৃত করার অর্থ হচ্ছে আপনি গণতান্ত্রিক ভাবে তৈরি হচ্ছেন। সেটা অ-স্বীকার করার মানে হচ্ছে আপনি মানসিক ভাবে গণতান্ত্রিক নন। নির্বাচন কমিশন সেখানে কোনো ভূমিকাই পালন করছে না।
আপনার মতামত লিখুন :