আব্দুর রাজ্জাক : ইকুয়েডর গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে তা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন গোপন নথি ফাঁসকারী প্রতিষ্ঠান উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ইকুয়েডরের এই ভূমিকাকে তিনি ষড়যন্ত্র দাবি করে তুরস্কে রিয়াদের কন্স্যুলেটে নিহত সৌদি ভিন্নমতালম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগজির ঘটনার চেয়েও ভয়ংকর ও সূক্ষ বলে অভিযোগ করেছেন। আরটি
অ্যাসাঞ্জ বলেন, ‘আমার ওপর নজরদারি করতে দেশটি প্রচুর অর্থ খরচ করছে। ইকুয়েডরের গুপ্তচররাই যে শুধু আমার ওপর গোয়েন্দাগিরি করছে তা নয়, তারা তথ্য সংগ্রহ করে তা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র কাছে পাঠায়। তারা আমাকে সাংবাদিকতা থেকে নিবৃত্ত করতে চায় এবং খাসোগজির মতো মুখ বন্ধ করে দিতে চায়।’
যুক্তরাজ্যে ইকুয়েডর দূতাবাসের যেখানে অ্যাসাঞ্জ দীর্ঘদিন শরণার্থী আশ্রয়ে আছেন সেখানকার পরিবেশ স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এটি তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করছে কারণ অসুস্থ হয়ে গেলে হাসপাতালে ভর্তির জন্য বাইরে আসতে হবে যা ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই প্রয়োজন বলে তিনি ইকুয়েডর আদালতে পাঠানো লিখিত অভিযোগে জানান।
তবে অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ সত্য নয়, তিনি যে হাতের মাধ্যমে খাবার খান তাতেই কাঁমড়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ইকুয়েডরের প্রসিকিউটর জেনারেল ইনিগো সালভাদোর।
আপনার মতামত লিখুন :