রবিন আকরাম : জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ পর এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ঢাকা-১৩ আসনের জাতীয় পার্টির উন্মুক্ত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সেন্টু। একই আসনে মহাজোটের প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।
বুধবার শফিকুল ইসলাম সেন্টু এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তথ্য- দৈনিক আমাদেরসময়
সেন্টু বলেন, ‘ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে বিষয়টি অবহিত করেছি। ব্যক্তিস্বাধীনতার কথা বিবেচনা করে জাপা মহাসচিব বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।’
শফিকুল ইসলাম সেন্টু ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঢাকা-১৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু মহাজোট থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদেক খানকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আর তাকে উন্মুক্ত প্রার্থী হিসেবে রাখা হয়।
কোনো প্রকার ক্ষোভ থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি জাতীয় পার্টির এই নেতা।
এর আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টি সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও দশম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী ছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেন রওশন এরশাদ। ফলে জোটের হিসাবে, ওই আসনে এখন মহাজোটের প্রার্থী থাকবেন হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানী।
রওশন এরশাদের চিঠি পাওয়ার তথ্য স্বীকার করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস।
তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে বিরোধী দলীয় নেতার একটি চিঠি পেয়েছি। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, মহাজোট প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে ত্রিশালের নির্বাচনি মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তবে ভোটের ব্যালটে রওশন এরশাদের প্রতীক নৌকাই থাকবে, মাদানী নির্বাচন করবেন নৌকা নিয়ে।
জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় হাফেজ মাওলানা রুহুল আমীন মাদানীকে। পরদিন দুপুরে উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম কেনেন রওশন এরশাদ। অবশ্য আরও আগে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন পান তিনি। এখন শুধু এই অসনেই নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালাবেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :