ফাহিম বিজয় : গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ জাতীয় পার্টির ১৩২ আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করার প্রসঙ্গে বলেছেন, এটিকে প্রথম প্রথম কৌশল মনে হয়েছিলো। কারণ বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে বা শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ায় তাহলে যাতে বিরোধী দল থাকে এজন্য এ পদক্ষেপটি নেয়া হয়েছিলো। এতো দিনে সবাই বুঝে গেছে যে, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করছে না। তারা স্বতঃফূর্তভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একটি কথা শোনা যাচ্ছে যে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং সাবেক মহাসচিব মনোনয়নের নামে যে চাঁদাবাজি করেছেন, বাণিজ্য করেছেন এবং প্রার্থীরাও অনেক বিনিয়োগ করে ফেলেছেন, যার কারণে অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চাচ্ছেন না। এটি নিয়ে দলটি ঝুট-ঝামেলায় আছে। ঝামেলা এড়ানোর জন্য চেয়ারম্যান মহাসচিবকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। পরে আবার তাকে প্রমোট করা হয়েছে এবং প্রমোট করে চেয়ারম্যান সাহেব সিঙ্গাপুরে চলে গিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয় না যে, এটি নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে। আমার মনে হয়, আগামী এক, দুই সপ্তাহের মধ্যে অনেকেই হয়তো যার যার আসনে মহাজোটের অফিসিয়াল প্রার্থীর জন্য নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন এবং তার পক্ষেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাবেন। এরপরেও যারা থেকে যাবেন, তারা খুব সুবিধা করতে পারবেন বলে মনে হয় না। কারণ পরিবেশটি এমন হয়ে গেছে যে, এবার শুধু ভোট হবে নৌকা এবং ধানের শীষে। এর ব্যতিক্রম কিছু হবে বলে মনে হয় না।
এক প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিবেশ এখনো পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পূর্বের নির্বাচনগুলোতেও এর থেকে ভালো পরিবেশ ছিলো ন। পরিবেশ এমনই থাকবে, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটবে, এটিই স্বাভাবিক। তবে কেউ যদি নির্বাচন না হোক এটি চেয়ে থাকে, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে তারা একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :