আমিরুল ইসলাম : ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারাপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, সারাদেশ ঘুরে ঘুরে ভোটারদেরকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।
এ প্রতিবেদকের সাঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা রাজাকারমুক্ত সংসদ চাই। মুক্তি যুদ্ধের চেতানার পক্ষের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষদের বলছি। স্বাধীনতাবিরোধী, গণহত্যাকারী, রাজাকার আলবদর বা সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী অপশক্তিকে ভোট না দেওয়ার কথা বলছি।
জামায়াত নিষিদ্ধ করার জন্য সাতাশ বছর ধরে তারা আন্দোলন করছেন। ইউরোপিয় ইউনিয়ন বলেছে বিএনপিকে জামাতের সাথে না থাকার জন্য। আমেরিকার কংগ্রেস বলেছে বিএনপিকে জামায়াতকে ছাড়ার জন্য। বিএনপি-জামায়াত হরিহরআত্মা বলে তারা একে অপরকে ছাড়ছে না। জামায়াতের এজেন্ডা হচ্ছে বাংলাদেশকে তারা জিয়াউল হকের পাকিস্তান বানাবে। মোল্লাহ উমরের আফগানিস্তান বানাবে। আমরা বিভিন্ন সমাবেশ করে, সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপিকে বলেছি তারা যেন জামায়াতকে বৈধতা না দেয়। জামায়াতের সাথে তাদের সম্পর্ক পরিত্যাগ করার জন্য।
সংবিধান মেনে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মেনে, বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা মেনে সবাইকে নির্বাচন করার কথা আমরা বলেছেন। পৃথিবীর কোনো দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। বঙ্গবন্ধু বাহাত্তরের সংবিধানে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। গণহত্যার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার জন্য। জিয়াউর রহমান এদেরকে পুনরায় রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে তাদেরকে মন্ত্রিসভার সদস্য বানিয়েছেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জামায়াত-বিএনপি যে সহিংসতা চালিয়েছে তা সবাই দেখেছে। জামায়াত-বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশে একটা কেয়ামত হয়ে যাবে। জামায়াতের এজেন্ডা হচ্ছে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া। এখন সাধারণ মানুষ যেনো তাদের ভোট না দেয় সে অভিযানই তারা চালাচ্ছেন বলে জানান শাহরিয়ার কবির।
আওয়ামী লীগ এবার ক্ষমতায় আসলে দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করা হবে। জামায়াত কে নিষিদ্ধ করা হবে। জামায়াত যেনো আর কখনো সংসদে আসতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। জামায়াতের রাজনীতি বন্ধ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :