শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৬:৩৪ সকাল
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৬:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পার্লামেন্টে অনাস্থার মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

আসিফুজ্জামান পৃথিল : আস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় মধ্যরাত) এ সংক্রান্ত ভোটাভুটির কথা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জোট থেকে ব্রিটেনের বের হওয়ার প্রক্রিয়া ব্রেক্সিট বিষয়ে থেরেসার বিরুদ্ধে এ অনাস্থা এনেছে তার নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টি। ভোটাভুটি শুরুর আগে থেরেসা তার এমপিদের জানিয়ে রেখেছেন, তিনি ২০২২ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেবেন না, তবে ব্রেক্সিট সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে ইচ্ছুক। বিবিসি

ভোট শুরুর আগ মুহূর্তে নিজ দলের পেছনের সারির এমপিদের সঙ্গে এক আবেগঘন বৈঠক করেন থেরেসা। সেখানে তিনি তাদের সমর্থন কামনা করেন। তার নিজের দলেই ৪৮ জন এমপি তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। দলের অধিকাংশ সদস্য প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই রয়েছেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে সাংবাদিকদের মে বলেন, ‘আমি আমার সবকিছু দিয়ে এই ভোটের মোকাবিলা করবো।’ তিনি জানান, নতুন কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে তাকেও ব্রেক্সিট সংক্রান্ত ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ হয় বাতিল না হয় বর্ধিত করতে হবে। ফলশ্রুতিতে ব্রেক্সিট হতে হয় দেরি হবে না হয় ব্রেক্সিট হবেই না। কনজারভেটিভ এমপিরা স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা থেকে) ভোট প্রদান করবেন। ভোটাভুটির অব্যহতি পরেই ভোটের ফল জানা যাবে। থেরেসা আরও বলেছেন, কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন পুরো যুক্তরাজ্যের জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে।

এদিকে এখনও স্পষ্ট নয়, ভোটে থেরেসা টিকবেন কিনা। মন্ত্রীসভার সকল সদস্যই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নিজেদের বিশ্বস্ততার কথা জানিয়েছেন। এরমধ্যে এমন সদস্যও রয়েছেন যাদের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী বলে অভিহিত করছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট জানিয়েছেন, থেরেসাই যোগ্য ব্যক্তি যিনি ২৯ মার্চ ব্রিটিনের ইউরোপ ত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন। এখন পর্যন্ত ১৫৮ জন টরি এমপি জানিয়েছেন তারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই থাকবেন। বিবিসির গবেষণায় উঠে এসেছে ২২ জন তার বিপক্ষে নিশ্চিতভাবে যাচ্ছেন। কিন্তু এটি যেহেতু গোপন ব্যালটে ভোট, তাই কোন পরিসংখ্যানই নিশ্চিত নয়।

যদি থেরেসা মে এই ভোটে জিতে যান, তবে এক বছরের মধ্যে তার নেতৃত্বকে আর চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা যাবে না। যদি তিনি হেরে যান, তবে তিনি আর ক্ষমতাশীন দলটির নেতৃত্বে থাকবেন না। তার বদলে নতুন কেউ প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর যদি থেরেসা ভোটে জেতেন কিন্তু তা নিরঙ্কুশ না হয়, তবে তিনি পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অথবা নতুন নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হবে, যাতে হয়তো টিকতে পারবেন না মে। সম্পাদনা : শরিফ আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়