শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫২ দুপুর
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাপাহারে নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করলো স্কুলছাত্রী

আশরাফুল নয়ন : নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা প্রত্যন্ত অঞ্চল পাতাড়ী ইউনিয়নের পাতাড়ী ড্রেনপাড়া গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী শিক্ষার্থী ১০৯ নম্বারে কল দিয়ে নিজের বিয়ে নিজেই বন্ধ করে দিয়েছে। পাতাড়ী ড্রেনপাড়া গ্রামের মোকলেছুর রহমানের মেয়ে মোর্শেদা খাতুন (১৩)। সে পাতাড়ী ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, মাদ্রাসা পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা পাশের গ্রামের এক ছেলের তার মেয়ের বিয়ে দেয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করেছিলেন। বাড়িতে বিয়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হতে দেখে শিক্ষার্থী মোর্শেদা গ্রামের বেসরকারি সংগঠন বিএসডিও এবং বিডিও এর শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও লোক কেন্দ্রে গিয়ে দেয়ালের চার্টে টাঙানো জরুরি ভিত্তিতে কল করার জন্য সরকারি ফোন নম্বরগুলো তার নিজ খাতায় লিখে নিয়ে দৌঁড়ে বাসায় ফিরে।

এরপর সে নিজ ঘরে ঢুকে তার বিয়ে বন্ধের জন্য ১০৯ নম্বারে কল দেয়ার চেষ্টা করতে থাকে। ঠিক এ সময়ে তার মা ফেরদৌসী বেগম মেয়ের কল করে বিয়ে বন্ধ করার কৌশল বুঝতে পেরে মেয়ের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সে এই নম্বর কোথায় পেল জানার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকলে শিক্ষার্থী মোর্শেদা নম্বারটি তার গ্রামের লোক কেন্দ্রের ম্যানেজার শারমীন আক্তার এর নাম বলে দেয়। এরপর ওই তার বাবা-মা কেন্দ্রের ম্যানেজারের প্রতি চড়াও হয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করেন। তখন লোক কেন্দ্রের ম্যানেজার শারমীন আক্তার প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ভয় দেখালে মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দেন মোর্শদের বাবা-মা। মোর্শেদার বুদ্ধি মত্তার জোরে নিজের বিয়ে নিজে বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসী ওই শিক্ষার্থী মোর্শেদা খাতুনকে ধন্যবাদ জানান।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কল্যাণ চৌধুরীর জানান, এ ধরনের সংবাদ তিনি পাননি। পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতেন। তবে বিষয়টি ক্ষতি দেখবেন বলে জানান। সম্পাদনা : মুরাদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়