নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথম ম্যাচ জয়ের পর চনমনে টাইগাররা দ্বিতীয় ম্যাচেই হেরে গেলো। তাও আবার এক ব্যাটসম্যানের কাছেই পরাজয় তাদের। ঘরের মাঠে এমন হারের দিনে চোখে পড়েছে টাইগরাদের দৃষ্টিকটু কিছু ভুল। সিলেটে সিরিজ নিষ্পত্তিমূলক শেষ ওয়ানডেতে তাই টাইগাররাদের ভাবনায় ছোট ছোট কিছু ভুল।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিং করে যেখানে রান হওয়ার কথা অন্তত আরও ১৫-২০ বেশি। সেখানে শেষ চার ওভারে যেন ব্যাটিংই ভুলেছিল বাংলাদেশ দল। মাশরাফি ও মিরাজ শেস দুই ওভারে নিলেন মাত্র ৪রান! হাতে তখনও চার উইকেট বাকি থাকতে লোয়ার অর্ডারের এমন ব্যাটিং আসলেই দলকে ভাবিয়ে তুলছে। তাছাড়া চার ওপেনারকে নিয়ে সাজানো দলে ইমরুল ও লিটন রান পাননি। সেটাও ভাবাচ্ছে দলকে।
এবার আসা যাক ফিল্ডিংয়ে। যেভাবে ক্যাচ হাতাছাড়া করেছে টাইগার ফিল্ডাররা। সেটা দেখে যে কেউই বলতে পারে এ দল হারতে পারে। ক্যাচ হাতছাড়া হওয়ায় ভুগেছে দল। বোলিংও হয়েছে একটু আলগা। প্রতিপক্ষের একজন খেলেছে অসাধারণ ইনিংসে। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার মতে, এই সবকিছু মিলিয়েই হেরেছে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচের তুলনায় উইকেট এ দিন ছিল অনেকটাই ব্যাটিং সহায়ক। বাংলাদেশের রান এক সময় মনে হচ্ছিল হবে আরও বেশি। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পারে কেবল ২৬ রান।
বোলিংয়ে শেষ দিকে এক পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৩ ওভারে ৩২। রুবেলের এক ওভারে আসে ১০ রান, মুস্তাফিজের ওভারে ১৬। শেষ ওভারে ৬ রান আসে অনায়াসেই। সপ্তম উইকেটে যাকে নিয়ে ৭১ রানের ম্যাচ জেতানো জুটি গড়েছেন শাই হোপ, সেই কিমো পলের দুটি ক্যাচ নিতে পারেননি বদলি ফিল্ডার নাজমুল ইসলাম অপু। ম্যাচ শেষে অধিনায়কের কাঁটাছেড়ায় উঠে এলো সবকিছুই।
তবে ব্যাটিংয়ের আক্ষেপটাই অধিনায়কের কাছে বেশি। ওপেনিংয়ে এ দিন ফিফটি করেছেন তামিম ইকবাল, মিডল অর্ডারে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু কেউ পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। সাম্প্রতিক সময়ে এমনটি বিরল, বলছেন অধিনায়ক।
আপনার মতামত লিখুন :