শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৫৪ দুপুর
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পটুয়াখালী-৪ আসনে আ’লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ

উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে নির্বাচনী প্রচারনাকালে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত: দেড় শতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হওয়ার পর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে আ’লীগ ও বিএনপি। দু’দলই হামলায় জড়িত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি সহ প্রশাসনের প্রতি নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির আহবান জানিয়েছেন। এছাড়া উভয় দল তাদের নিজ নিজ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের আগে চিহ্নিত ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।

মঙ্গলবার বিকালে রাঙ্গাবালীতে নির্বাচনী প্রচারনাকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সশস্ত্র হামলার ওই ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার সকাল ১১ টায় কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে বিএনপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের সন্মুখে মহাজোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনসহ নেতা-কর্মীদের হুমকি ও মারধরের অভিযোগ এনে বিএনপি’র প্রার্থী এবিএম মোশারফ হোসেন লিখিত বক্তব্য বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে রাঙ্গাবালী উপজেলার খালগোড়া বাজারে পথসভা করার আগেই যুবলীগ নেতা রিয়াজ মৃধা, রেসাদ ও চেয়ারম্যান মামুন খানের নেতৃত্বে হামলা করে দলীয় অন্তত: ১৫০ নেতাকর্মীকে আহত ও জখম করে। এসময় চর মোন্তাজ ইউনিয়নের বশির ফকিরের পা কেটে দেয়া হয়।

এছাড়া কাওসার আহম্মেদ, সাহজুল মীর, আলাউদ্দিন প্যাদা, সাইদুল গাজী, মন্নান মীর, খোকন, মোকলেছ মীর, রেশাদ, রিয়াদ আকন, রাব্বি, জাকির মোমিন হাওলাদার, মোকলেছুর হাওলাদার, মোশারফ লাহেরী, বেলাল খলিফা ও রহিম খলিফা রক্তাক্ত জখম হয। এরা বরিশাল, কলাপাড়া ও গলাচিপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ধুলাসারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইউনুচ দালাল, শাকিল, এমদাদ মৃধা, হাবিবের নেতৃত্বে মঙ্গলবার চাপলী বাজারের বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার টেবিল লুট করে নেয়া হয়। ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে প্রচার মাইক ভাংচুর করা হয়। একইদিন কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মজিবর, মিলন পাহলান, খালেক খান ও মহিবুল্লাহ চৌকিদারের নেতৃত্বে প্রচার মাইক ভাংচুর করা হয়। মহিপুর বাজারে নির্বাচনী প্রচারে বাঁধা দেয়া হয়। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তার।

এদিকে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে বেলা ১২টায় অপর এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাকিবুল আহসান লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, রাঙ্গাবালীতে আ’লীগের নির্ধারিত পথসভা চলছিল। তার পাশে ধানের শীষ প্রতীকের পথসভার আয়োজন করে বিএনপি।

এসময় বিএনপি প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেন পথ সভায় উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে জামায়াত ও বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসী কবির তালুকদার, রহমান মাষ্টার, সাবু মিয়া, সোহাগ আকন, জাকির, নিয়াজ, বিপু, ইব্রাহীম, রহমান ফরাজী, মোতালেব হাওলাদার, মামুন হাওলাদার ও রাকিব হাওলাদারের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায় আ’লীগ কর্মী সমর্থকদের ওপর। হামলায় রাঙ্গাবালী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক লিটু, হাবিবুল বসার তোতা, শাহারুল হাওলাদার, কালাম হাওলাদার, রাহাত, ইউপি সদস্য শিমুল , সাদ্দাম, সোহেল মীর, মহাসীন, বিপ্লব, আতিকুর, কামাল, সোহেল মিয়াসহ অর্ধশত আহত হয়। এরা বর্তমানে কলাপাড়া, গলাচিপা ও বরিশালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, ধুলাসার, মহীপুর ও কুয়াকাটায় যে ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে এবং যাদের নাম বলা হয়েছে তারা আ’লীগের কেউ নয়। এ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের সাথে আ’লীগের কেউ জড়িত নয় বলে দাবী তার। আ’লীগের সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দীন, অ্যাডভোকেট বিমল সমাদ্দার প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কলাপাড়ান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, এ আসনটি আ’লীগের ঘাটি। নৌকা এখানে নিশ্চিত বিজয়ী হবে। বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় হবে বুঝতে পেরে এখন হামলা ও লুটপাটের মিথ্যা গল্প বানিয়ে প্রচার করছে।

পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, বিএনপি যেসব আহতদের নাম উল্লেখ করেছে তারা স্থানীয় কেউ না, বহিরাগত। এই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এ অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই জড়ো হয়েছিলো। যাদের কয়েকজনকে পুলিশ ট্রলারসহ আটক করেছে।

রাঙ্গাবালী থানায় ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র সাংকাদিকদের জানান, আ’লীগের পক্ষ থেকে রাঙ্গাবালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে ৪৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ২০জনকে আটক করেছে। তবে বিএনপি’র পক্ষ থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করার তথ্য জানা যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়