মারুফুল আলম : ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর সিনিয়র ডিরেক্টর ড. আব্দুল আলিম বলেছেন, নির্বাচন একটি গেইম। ফুটবল খেলার মতো একটি খেলা। খেলায় যেমন বিধিবিধান বা রুলস এন্ড রেগুলেশন থাকে, একইভাবে নির্বাচনেরও আছে বিধিমালা। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আচরণ বিধিমালার কার্যকারিতা শুরু হয়ে যায়। মঙ্গলবার আরটিভি’র কথা হোক অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ১২২টি ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি এবং ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে নির্বাচনের বিধিমালা সুন্দরভাবে দেখাশোনার জন্য। যখনই কোন ঘটনা ঘটবে, বিধি ভঙ্গকারীর নামে নোটিশ যাবে এবং নোটিশ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
নির্বাচনী গাইডলাইনে কিছু দুর্বলতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইলেকশন অবজারভেশন কিন্তু অনিয়ম কমায়। কেন্দ্রে পর্যবেক্ষক থাকলে তার সামনে অনিয়ম হবার সম্ভাবনা অনেকটা কমে আসে। এটি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়। তবে কোনো কোনো দেশে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ছাড়াও ভালো নির্বাচন হয়। যেমন ভারতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের কোনো ফ্যাসিলিটি নাই। তারা এলাউও করে না। তারা ব্যবহার করে শুধু ভেতরের পর্যবেক্ষকদের।
মসজিদ, মন্দির, গীর্জা প্যাগোডা- এ ধরণের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করা কোড অব কনডাক্ট অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ড. আলিম আরো বলেন, নির্বাচনী সহিংসতা এড়াতে প্রাক-নির্বাচন কাল, নির্বাচন কাল এবং নির্বাচন পরবর্তী কালের জন্য একটি সিকিউরিটি প্ল্যান থাকা উচিত যাতে নির্বাচনের আগেই ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি নিশ্চিত থাকে। ২০০৮ নির্বাচনের পরে ৭ দিন পর্যন্ত সারা সেনাবাহিনী মাঠে মোতায়েন থাকায় তেমন সহিংসতা নজরে পড়েনি।
বর্তমান সামাজিক এবং পারিবারিক ব্যবস্থার কারণে নারীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা বিধান জরুরী বলে মনে করেন তিনি।
কেন্দ্র পাহারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে পারে না। কেন্দ্রের ভেতরে শুধুমাত্র ভোটার, বৈধ পর্যবেক্ষক, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা, কার্ডধারী সাংবাদিক, পোলিং এজেন্ট, প্রার্থী এবং প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট আর নির্বাচনী কর্মকর্তারা ছাড়া ৪০০ গজের ব্যাসার্ধের ভেতরে কেউ যেতে পারবে না।
ড. আলিম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যদি কেউ কোড অব কন্ডাক্টের ভায়োলেশন করে তাহলে ইলেকশন কমিশনের একটি মনিটরিং সেল আছে। এক্ষেত্রে মিডিয়ারও ভূমিকা আছে। নাগরিক হিসেবেও যে কেউ কমিশনে অভিযোগ করতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :