ফাহিম বিজয় : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক রাশেদা রওনক খান নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেছেন, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে যদি বলি, আমরা চাই দেশে শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। দেশের মানুষ চায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনটি হোক। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে কোনো সহিংসতা হবে কিনা এটি আসলে নির্ভর করছে যারা মনোনয়ন পাননি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা নির্বাচন করছেন তারা কতোটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পারবেন তারা উপর। তারা বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ বা গোলযোগ ছাড়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা সামনের দিনগুলোতে সেটিই দেখার বিষয়। আরা যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তারা কতোটা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পারবেন তার উপর। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের দিকেই সবাই এগোচ্ছেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এ বছরের নির্বাচনটি আমাদের পুরো জাতির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সামনে আমাদের বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী আছে। সেক্ষেত্রে কোন সরকার তখন ক্ষমতায় থাকবে এটি একটি বড় ব্যাপার। আর যেহেতু ২০১৪ সালের নির্বাচনটি আমাদের মনঃপুত হয়নি তাই সবাই চাচ্ছে এই নির্বাচনটি যেন সুষ্ঠু হয়। এজন্য ভোটার, প্রার্থী, সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনসহ সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সবার সহযোগিতায় নির্বাচনটি সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হবে বলে আমরা আশা করি।
এক প্রশ্নের উত্তরে রাশেদা রওনক খান বলেন, এই নির্বাচনে মনোনয়নের নামে বাণিজ্য হয়েছে। এখনকার রাজনীতি বাণিজ্যিক রাজনীতি হয়ে গেছে। স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময় থেকে রাজনীতিকে আমরা রাজনৈতিক অর্থে যেভাবে দেখে এসেছি এবং বাঙালি রাজনীতির যে ইতিহাস সেটি থেকে বর্তমান রাজনীতি অনেক দূরে। বর্তমানে রাজনীতি হয়ে গেছে অর্থের রাজনীতি। বেশির ভাগ আসনেই মনোনয়নের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিকীকরন করা হয়েছে। রাজনীতি হলো, একটি দেশের সামাজিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিকাশসহ সকল ক্ষেত্রের উন্নয়নের একটি মাধ্যম। রাজনীতি আসলে যেভাবে বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে তাতে রাজনীতির চরিত্রটি বদলে যাচ্ছে। এটি একটি জাতির জন্য সুখকর নয়।
আপনার মতামত লিখুন :