জুয়েল খান : গণসংহতি আন্দালনের প্রধান সমন্নয়কারী যোনায়েদ সাকি বলেছেন, পুলিশ মূলত সরকারি বাহিনী এবং দলীয় বাহিনী হিসাবেই কাজ করে। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য সরকারকেই ছাড় দিতে হবে। মঙ্গলবার রাতে ইনডিপেডেন্ট টেলিভিশনের এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে যতটা কোনঠাসা রাখা যায়, অথবা তারা যাতে নিজেরাই কিছুটা সংকুচিত হয়ে যায় এরকম একটা যায়গা তৈরি করার চেষ্টায় আছে। সেই চেষ্টা আসলে নির্বাচনের সমান সুযোগের জন্য ইতিবাচক নয়। এতে বোঝা যায় সরকার যা চাচ্ছে সেটাই হচ্ছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এখনো সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি তবে কমিশনের এখনো সুযোগ আছে মানুষের আস্থা অর্জন করার। নির্বাচন কমিশনকে তাদের সাংবিধানিক যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। না হলে মানুষ কমিশনের ওপর আস্থা হারাবে, আমাদের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ রাষ্ট্রের বাহিনী যে সরকার যখন থাকে তার কতৃত্ব মানতে হয়। কিন্তু পুলিশকে মানতে হবে তারা রাষ্ট্রের বাহিনী এবং সরকারের নির্দেশ এই দুইটার মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে এই বিষয়টা কখনো দেখা যায় না আমরা সেই যায়গায় পৌছাতে পারিনি।

তিনি জানান, কোনো প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ না করলে কমিশন কোনো ব্যবস্থায় নেয় না। কিন্তু এমন হওয়া উচিত না, কমিশন নিজেথেকেই ব্যবস্থা নেবে। প্রার্থী নিজে অভিযোগ করলে অপর প্রার্থীর সাথে গন্ডগোল লাগতে পারে। আবার নির্বাচনী আচরণ বিধিতে বলা আছে কোনো প্রার্থী একটা ওয়ার্ডে একটার বেশি অফিস করতে পারবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীনদের ৩শ গজের মধ্যে ৩ টা অফিস। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকলে এটা সম্ভব হতো না।