ডা. আবুল হাসনাৎ মিল্টন : সম্প্রতি কারো সাথে দেখা হলে সেই একই কথা, ‘ভাই কী করেন? অনলাইনে জামায়াত-শিবির সব দখল করে ফেললো!’ অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ অনলাইনে শিবির অনেক বেশি তৎপর। কিন্তু এই তৎপরতার ফলাফল কী?
গত কয়েকদিন ধরে আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অনলাইনে বিভিন্ন গ্রুপের কার্যক্রমগুলো মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করছি। অনলাইনে শিবিরপন্থীরা সবচেয়ে বেশি তৎপর তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে কেউ কী একবারো লক্ষ করে দেখেছেন যে তাদের এমন কাজ-কারবারের গুণগত মান কী রকম?
ভুল বানানে, অসত্য তথ্যে ও প্রায়শই অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় জামায়াত-শিবির এবং বিএনপির অনুসারীরা তাদের অনলাইন কার্যক্রম চালাচ্ছে। ভিন্নমত, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পোস্টগুলোকে যে ভাবে, যে আক্রমণাত্মক ভাষায় তারা আক্রমণ করে তা খুবই আপত্তিকর। কখনো কখনো তাদের ব্যবহৃত ভাষাও শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে যায়। সবচেয়ে মারাত্মক হলো, তারা একেকজন ভয়াবহ প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে। তাদের কথাবার্তায় মনে হয়, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ জয়ী হলে নৌকার নেতা-কর্মীদের তারা নিশ্চিহ্ন করে ফেলবে। দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে।
যারা ধর্মের নামে রাজনীতি করে এতো মিথ্যে কথা বলে, যাদের ভাষা শুধু ভুল বানানের দোষেই দুষ্ট নয় বরং প্রায়শই অশ্লীলতায় ভরপুর, প্রতিপক্ষকে সুযোগ পেলেই যারা দেখে নেবার বা নিশ্চিহ্ন করে ফেলবার হুমকি দেয়, তাদের কি সাধারণ মানুষ পছন্দ করবে? তাদের অনলাইনের উগ্র আচরণের ফলে যে রাজনৈতিক দলের তারা সমর্থক তা কি সাধারণ, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের আদৌ আকৃষ্ট করতে পারবে?
আমার ধারণা, অনলাইনে জামায়াত-শিবিরের মিথ্যাচারিতা ও উগ্র আচরণের ফলে যতোই তারা সক্রিয় থাকুক না কেন, ফলাফল বুমেরাং হতে বাধ্য। অনলাইনে তারা যতোই বেপরোয়া হয়ে মিথ্যা ও প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করবে ততোই ধানের শীষের তথা জামায়াত-শিবিরের ক্ষতি হবে। মন্দ কী?
লেখক : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কবি ও চিকিৎসক। চেয়ারম্যান, আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন
আপনার মতামত লিখুন :